Dhaka ০৩:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে টিসিবি’র পণ্যে হাসিনা সরকারের স্লোগান দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • ১৬ Time View

 

আলমগীর হোসেনঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসক আওয়ামী সরকার পরিবর্তন হলেও, পরিবর্তন হয়নি তার প্রেতাত্মাদের। যার প্রমান মেলে ঠাকুরগাঁওয়ে টিসিবির কাজে ব্যবহৃত পণ্যের বস্তার গায়ে বিগত স্বৈর-আওয়ামী সরকারের স্লোগান লেখা থেকে। আর কর্তব্যে অবহেলার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টেনিজনরা সহ সর্বস্তরের মানুষ অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দিকে।
টিসিবি’র পণ্য বহনে ব্যবহৃত বিগত স্বৈর-সরকারের “খুধা হবে নিরুদ্দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ” স্লোগান সম্বলিত বস্তার বিষয়ে বর্তমানে সরকারীভাবে সুনিদৃষ্ট বিধি নিষেধ থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা জেলার বিভিন্ন ডিলার পয়েন্টেই। গত দুদিন ধরেই এমন দৃশ্যের দেখা মিলছে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া এলাকার টিসিবির পন্য বিতরণী পয়েন্টে।
আর এ বিষয়টি জানাজানি হবার পর থেকে বেশ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায় জনগণের মাঝে। উত্তেজিত জনতা এবং জেলার সুশিল সমাজের অভিযোগ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে।
জানাযায়, ঠাকুরগাঁও জেলায় টিসিবির পণ্য সরবরাহকারী ডিলার পয়েন্ট রয়েছে প্রায় ৬০ টি। আর এসব পয়েন্টের ডিলারদের সাথে কথা বলে জানাযায় অন্যান্য জেলা গুলিতে টিসিবির বস্তা পরিবর্তন করা হলেও ঠাকুরগাঁওয়ে এর কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বা উদ্যোগ নেওয়া হলেও হয়নি তার বাস্তবায়ন।
রাজিব, সাইফুল ইসলাম ও বাবু নামের টিসিবির ডিলাররা জানান, আমাদের যেসব বস্তা সরবরাহ করা হয়েছে আমরা তাই ব্যবহার করে আসছি। কোন কোন জায়গায় বস্তা পরিবর্তন এবং বস্তার গায়ের স্লোগান লেখাটি কালো কালি দিয়ে মেশানো থাকলেও আমাদের বেশিরভাগ বস্তাতেই এখনও এসব পরিবর্তন করা হয়নি এবং আমাদেরও কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস থেকে।
এ ব্যাপারে জেলার সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসক আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে। তবে সেই সরকারের প্রতিনিধি ও প্রেতাত্মারা এখনও কিছু কিছু জায়গায় বহাল তবিয়তেই রয়েছে এবং খুব সুকৌশলেই তাদের কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের যে খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা রয়েছে , তিনি বিগত সরকারের সময় থেকেই তাদের পারপাস সার্ভ করে আসছে। কোন খুটির জোরে তিনি এখনও বহাল রয়েছেন তা আমাদের জানা নেই।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি ফুড) মাহমুদুল হাসান এর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলবো না। আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে নিষেধ রয়েছে কথা বলতে।

 

 

 

 

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

kartick kartick

Popular Post

ঠাকুরগাঁওয়ে টিসিবি’র পণ্যে হাসিনা সরকারের স্লোগান দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে

Update Time : ০৬:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

 

আলমগীর হোসেনঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসক আওয়ামী সরকার পরিবর্তন হলেও, পরিবর্তন হয়নি তার প্রেতাত্মাদের। যার প্রমান মেলে ঠাকুরগাঁওয়ে টিসিবির কাজে ব্যবহৃত পণ্যের বস্তার গায়ে বিগত স্বৈর-আওয়ামী সরকারের স্লোগান লেখা থেকে। আর কর্তব্যে অবহেলার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টেনিজনরা সহ সর্বস্তরের মানুষ অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দিকে।
টিসিবি’র পণ্য বহনে ব্যবহৃত বিগত স্বৈর-সরকারের “খুধা হবে নিরুদ্দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ” স্লোগান সম্বলিত বস্তার বিষয়ে বর্তমানে সরকারীভাবে সুনিদৃষ্ট বিধি নিষেধ থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা জেলার বিভিন্ন ডিলার পয়েন্টেই। গত দুদিন ধরেই এমন দৃশ্যের দেখা মিলছে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া এলাকার টিসিবির পন্য বিতরণী পয়েন্টে।
আর এ বিষয়টি জানাজানি হবার পর থেকে বেশ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায় জনগণের মাঝে। উত্তেজিত জনতা এবং জেলার সুশিল সমাজের অভিযোগ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে।
জানাযায়, ঠাকুরগাঁও জেলায় টিসিবির পণ্য সরবরাহকারী ডিলার পয়েন্ট রয়েছে প্রায় ৬০ টি। আর এসব পয়েন্টের ডিলারদের সাথে কথা বলে জানাযায় অন্যান্য জেলা গুলিতে টিসিবির বস্তা পরিবর্তন করা হলেও ঠাকুরগাঁওয়ে এর কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বা উদ্যোগ নেওয়া হলেও হয়নি তার বাস্তবায়ন।
রাজিব, সাইফুল ইসলাম ও বাবু নামের টিসিবির ডিলাররা জানান, আমাদের যেসব বস্তা সরবরাহ করা হয়েছে আমরা তাই ব্যবহার করে আসছি। কোন কোন জায়গায় বস্তা পরিবর্তন এবং বস্তার গায়ের স্লোগান লেখাটি কালো কালি দিয়ে মেশানো থাকলেও আমাদের বেশিরভাগ বস্তাতেই এখনও এসব পরিবর্তন করা হয়নি এবং আমাদেরও কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস থেকে।
এ ব্যাপারে জেলার সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসক আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে। তবে সেই সরকারের প্রতিনিধি ও প্রেতাত্মারা এখনও কিছু কিছু জায়গায় বহাল তবিয়তেই রয়েছে এবং খুব সুকৌশলেই তাদের কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের যে খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা রয়েছে , তিনি বিগত সরকারের সময় থেকেই তাদের পারপাস সার্ভ করে আসছে। কোন খুটির জোরে তিনি এখনও বহাল রয়েছেন তা আমাদের জানা নেই।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি ফুড) মাহমুদুল হাসান এর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলবো না। আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে নিষেধ রয়েছে কথা বলতে।