Dhaka ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামিনে এসে সাঁওতালদের মামলায় জড়ানোর পায়তারা চেয়ারম্যানের!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৩১ Time View

 

স্টাফ রিপোর্টঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে এসে সাঁওতালদের মামলায় জড়ানোর পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউনিয়নের রাজাবিরাট এলাকার বরট্ট (আদিবাসীপাড়া) গ্রামের সাঁওতাল নারী ফিলুমিনা হাসদাকে মারধর ও বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তিনি গত ৮ জানুয়ারি ঢাকায় গ্রেফতার হন। এ ঘটনায় তাকে দল থেকেও বহিষ্কার করে বিএনপি।
সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকে জানান, জমি নিয়ে বিরোধে গত ৩ জানুয়ারি সুন্দর মন্ডলের স্ত্রী ফিলুমিনা হাসদা (৫২) ও তার পরিবারের ওপর হামলা, মারধর ও অগ্নিসংযোগ করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম স¤পাদক রফিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় ফিলোমন হাসদার বড় ছেলে জুলিয়াস সরেন বাদি হয়ে চেয়ারম্যান রফিকুলসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ কারণে গত ৫ জানুয়ারি রফিকুল ইসলামকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এদিকে, মামলা হওয়ায় গা ঢাকা দেন রফিকুল ইসলাম। পরে ৮ জানুয়ারি ঢাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরের দিন আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
প্রায় এক মাস জেলে থাকার পর তিনি ৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে বেরিয়ে আসেন চেয়ারম্যান রফিকুল। জামিনে আসার পর থেকে মামলার বাদিসহ সাঁওতালদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন চেয়ারম্যান ও তার লোকজন।
ভুক্তভোগী ব্রিটিশ সরেন বলেন, জামিনে আসার পর থেকে চেয়ারম্যান স্থানীয় সাঁওতালদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি নিজের পুকুরের মাছ বিষ দিয়ে নিধনের পর ফিলুমিনা হাসদার পরিবারের ওপর দায় চাপিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করার চেষ্টা করছেন। এছাড়াও তার লোকজন বিভিন্ন সময়ে আমাদের নিরীহ সাঁওতালদের নানা রকমের হুমকি দিচ্ছে। ফলে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনযাপন করছি। সাঁওতালদের রক্ষায় প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নিবে বলে আশা করি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ইউনিয়নের অভিভাবক, কারো সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ নয়। পুকুরের মাছ নিধন হওয়ায় আমি থানায় অভিযোগ করেছি, কারো নাম উল্লেখ করে মামলা করিনি।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পুকুরের মাছ নিধন হওয়ায় থানায় অভিযোগ করেছেন, কারো(সাঁওতালদের) নামে মামলা করেননি।

 

 

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

kartick kartick

Popular Post

জামিনে এসে সাঁওতালদের মামলায় জড়ানোর পায়তারা চেয়ারম্যানের!

Update Time : ০৭:২৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

স্টাফ রিপোর্টঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে এসে সাঁওতালদের মামলায় জড়ানোর পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউনিয়নের রাজাবিরাট এলাকার বরট্ট (আদিবাসীপাড়া) গ্রামের সাঁওতাল নারী ফিলুমিনা হাসদাকে মারধর ও বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তিনি গত ৮ জানুয়ারি ঢাকায় গ্রেফতার হন। এ ঘটনায় তাকে দল থেকেও বহিষ্কার করে বিএনপি।
সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকে জানান, জমি নিয়ে বিরোধে গত ৩ জানুয়ারি সুন্দর মন্ডলের স্ত্রী ফিলুমিনা হাসদা (৫২) ও তার পরিবারের ওপর হামলা, মারধর ও অগ্নিসংযোগ করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম স¤পাদক রফিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় ফিলোমন হাসদার বড় ছেলে জুলিয়াস সরেন বাদি হয়ে চেয়ারম্যান রফিকুলসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ কারণে গত ৫ জানুয়ারি রফিকুল ইসলামকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এদিকে, মামলা হওয়ায় গা ঢাকা দেন রফিকুল ইসলাম। পরে ৮ জানুয়ারি ঢাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরের দিন আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
প্রায় এক মাস জেলে থাকার পর তিনি ৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে বেরিয়ে আসেন চেয়ারম্যান রফিকুল। জামিনে আসার পর থেকে মামলার বাদিসহ সাঁওতালদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন চেয়ারম্যান ও তার লোকজন।
ভুক্তভোগী ব্রিটিশ সরেন বলেন, জামিনে আসার পর থেকে চেয়ারম্যান স্থানীয় সাঁওতালদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি নিজের পুকুরের মাছ বিষ দিয়ে নিধনের পর ফিলুমিনা হাসদার পরিবারের ওপর দায় চাপিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করার চেষ্টা করছেন। এছাড়াও তার লোকজন বিভিন্ন সময়ে আমাদের নিরীহ সাঁওতালদের নানা রকমের হুমকি দিচ্ছে। ফলে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনযাপন করছি। সাঁওতালদের রক্ষায় প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নিবে বলে আশা করি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ইউনিয়নের অভিভাবক, কারো সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ নয়। পুকুরের মাছ নিধন হওয়ায় আমি থানায় অভিযোগ করেছি, কারো নাম উল্লেখ করে মামলা করিনি।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পুকুরের মাছ নিধন হওয়ায় থানায় অভিযোগ করেছেন, কারো(সাঁওতালদের) নামে মামলা করেননি।