Dhaka ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলা শাখার দায়িত্বশীল সম্মেলন গাজায় ইসরাইলী বর্বর ও লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেককে একসাথে দাঁড়াতে হবে- সহ সেক্রেটারি জেনারেল

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৪৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৭ Time View

স্টাফ রিপোর্টঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে সোমবার সকালে জেলা দায়িত্বশীল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, জেলা আমীর ও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক সরকার এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক জেলা আমীর ডা. আব্দুর রহীম সরকার।
এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা নায়েবে আমীর আব্দুল ওয়ারেছ, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাজেদুর রহমান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি সৈয়দ রোকনুজ্জামান ও মো. ফয়সাল কবির, জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা নজরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম মন্ডল, মাওলানা সাইদুর রহমান, খাইরুল আমিন, অধ্যাপক ফেরদৌস আলম ফিরোজসহ উপজেলা আমীর ও সেক্রেটারিবৃন্দ, মহিলা বিভাগীয় জেলা কর্মপরিষদ ও শূরার সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি মো. ফেরদৌস সরকার রুম্মান, সেক্রেটারি শাওন হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, গাজা সবসময় অপরাজেয়। কারণ, গাজাবাসীরা কুরআনের সঙ্গী ও কুরআনের যোদ্ধা। তারা ভয়কে জয় করেই নিজ মাতৃভূমিতে বসবাস করছে। তাদেরকে জন্মভূমি ত্যাগ করার জন্য নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদান করা হলেও আল্লাহর ফয়সালার অপেক্ষায় সেখানেই রয়েছে গেছেন। মূলত, বিশ্বের সকল মা-ই জন্ম দেন সন্তান। কিন্তু গাজার মায়েরা জন্ম দেন যোদ্ধা। তাই গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে জায়নবাদীরা একদিন পরাভূত হবে। তাই এ নির্মমতা দেখে কারো পক্ষে বসে থাকার সুযোগ নেই বরং যার যতটুকু সামর্থ আছে তা নিয়েই এসব মজলুম ভাইবোনদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, সমাজে অস্থিরতা ও অশান্তি বিরাজমান। মূলত, ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রে কুরআনের বিধান বাস্তবায়ন করা গেলে মানুষের কল্যান ও মুক্তি লাভ করা সম্ভব হবে। দেশের সকল নাগরিক সমাজে তার অধিকার ভোগ করবে। কেউ কারো হক্ব নষ্ট করার দুঃসাহস করবে না। থাকবে না মানুষে মানুষে কোন বৈষম্য। সমাজে কোন দুর্নীতি, দুঃশাসন, অপরাধ, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানী থাকবে না। রাষ্ট্রই সকল নাগরিকের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করবে। জামায়াত সে স্বপ্নের ইনসাফপুর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি দেশে কুরআনের বিধান বিজয়ী ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, তিনি সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুতি অর্জন করে আগামী দিনে নির্বাচন মুখী কার্যক্রম জোরদার করে সাংগঠনিক শক্তি ও সংগঠনকে গণমূখী করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
মাওলানা আবদুল হালিম মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার শিক্ষাকে ধারন করে সব ধরনের লোভ লালসার উর্ধে উঠে সৎ লোকের শাসন কায়েমে নেতিক শক্তি দিয়ে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবেলায় দৃঢ় ভূমিকা পালনের জন্য উপস্থিত দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন- “গাজায় ইসরাইলী বর্বর ও লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেককে একসাথে দাঁড়াতে হবে। এই পরিস্থিতিতে কোন বিবেকবান নীরবে বসে থাকার সুযোগ নেই।”

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

kartick kartick

Popular Post

জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলা শাখার দায়িত্বশীল সম্মেলন গাজায় ইসরাইলী বর্বর ও লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেককে একসাথে দাঁড়াতে হবে- সহ সেক্রেটারি জেনারেল

Update Time : ০৭:৪৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে সোমবার সকালে জেলা দায়িত্বশীল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, জেলা আমীর ও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক সরকার এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক জেলা আমীর ডা. আব্দুর রহীম সরকার।
এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা নায়েবে আমীর আব্দুল ওয়ারেছ, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাজেদুর রহমান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি সৈয়দ রোকনুজ্জামান ও মো. ফয়সাল কবির, জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা নজরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম মন্ডল, মাওলানা সাইদুর রহমান, খাইরুল আমিন, অধ্যাপক ফেরদৌস আলম ফিরোজসহ উপজেলা আমীর ও সেক্রেটারিবৃন্দ, মহিলা বিভাগীয় জেলা কর্মপরিষদ ও শূরার সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি মো. ফেরদৌস সরকার রুম্মান, সেক্রেটারি শাওন হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, গাজা সবসময় অপরাজেয়। কারণ, গাজাবাসীরা কুরআনের সঙ্গী ও কুরআনের যোদ্ধা। তারা ভয়কে জয় করেই নিজ মাতৃভূমিতে বসবাস করছে। তাদেরকে জন্মভূমি ত্যাগ করার জন্য নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদান করা হলেও আল্লাহর ফয়সালার অপেক্ষায় সেখানেই রয়েছে গেছেন। মূলত, বিশ্বের সকল মা-ই জন্ম দেন সন্তান। কিন্তু গাজার মায়েরা জন্ম দেন যোদ্ধা। তাই গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে জায়নবাদীরা একদিন পরাভূত হবে। তাই এ নির্মমতা দেখে কারো পক্ষে বসে থাকার সুযোগ নেই বরং যার যতটুকু সামর্থ আছে তা নিয়েই এসব মজলুম ভাইবোনদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, সমাজে অস্থিরতা ও অশান্তি বিরাজমান। মূলত, ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রে কুরআনের বিধান বাস্তবায়ন করা গেলে মানুষের কল্যান ও মুক্তি লাভ করা সম্ভব হবে। দেশের সকল নাগরিক সমাজে তার অধিকার ভোগ করবে। কেউ কারো হক্ব নষ্ট করার দুঃসাহস করবে না। থাকবে না মানুষে মানুষে কোন বৈষম্য। সমাজে কোন দুর্নীতি, দুঃশাসন, অপরাধ, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানী থাকবে না। রাষ্ট্রই সকল নাগরিকের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করবে। জামায়াত সে স্বপ্নের ইনসাফপুর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি দেশে কুরআনের বিধান বিজয়ী ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, তিনি সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুতি অর্জন করে আগামী দিনে নির্বাচন মুখী কার্যক্রম জোরদার করে সাংগঠনিক শক্তি ও সংগঠনকে গণমূখী করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
মাওলানা আবদুল হালিম মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার শিক্ষাকে ধারন করে সব ধরনের লোভ লালসার উর্ধে উঠে সৎ লোকের শাসন কায়েমে নেতিক শক্তি দিয়ে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবেলায় দৃঢ় ভূমিকা পালনের জন্য উপস্থিত দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন- “গাজায় ইসরাইলী বর্বর ও লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেককে একসাথে দাঁড়াতে হবে। এই পরিস্থিতিতে কোন বিবেকবান নীরবে বসে থাকার সুযোগ নেই।”