
মিঠাপুকুর (রংপুর) সংবাদদাতাঃ প্রতিভা কোনো সীমাবদ্ধ সিদ্ধিতে সন্তুষ্ট থাকে না, অসন্তোষই তার জয়যাত্রা পথের সারথি। সেই পথে যে-সব তোরণ আছে তা থামবার জন্যে নয়, পেরিয়ে যাবার জন্যে। বলেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সরকারী কর্মকর্তা কিংবা -কর্মচারীর বিরুদ্ধে জনগণের রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। আর এরই মধ্যে ব্যতিক্রম এক পরিশ্রমী,জননন্দিত রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মন, তার ছোঁয়ায় মিঠাপুকুরের চিত্রপাল্টে গেছে। রয়েছেন সাফল্যের সিঁড়িতে।
ইউএনও এর সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে,পুরো উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। হ্রাস পেয়েছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান।
মিঠাপুকুর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরালসভাবে কাজ যাচ্ছেন,এই জননন্দিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার সৎ যোগ্য, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের সচেতন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ সুশীল সমাজ।
উপজেলার যেকোনো অবৈধ ও অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে তিনি সর্বদাই সোচ্চার। তিনি কোনো অভিযোগ পেলে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা গ্রহন করেন। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ , ফেসবুক, সেলফোনের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
তাছাড়া সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবা, সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সরকারিভাবে ঘর নির্মাণ এবং বর্তমান সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বা সরকারি দান-অনুদান সরেজমিন পরিদর্শন করে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি সর্বদা ছুটে বেড়ান উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদ সহ ৩১০ টি মৌজার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে। ক্লান্তিবোধ হয়তো তাড়া করেনা তাকে। ইভটিজার,পারিবারিক জটিলতায় কিংবা বাল্য বিবাহে ছাড় নেই তার। উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্য বর্ধন, আগত সেবা প্রত্যাশীদের যথাযথ সেবা নিশ্চিতকরণ, উপজেলা পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম দক্ষতার সঙ্গে তদারকি, উপজেলায় চারপাশে চলার পথ ও দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন কাজও করেছেন তিনি। শিক্ষাবান্ধব ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সময় পরিদর্শন করেন। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের গুণগত এবং লেখাপড়ার জন্য মানসম্মত বিদ্যাপীঠ গড়ে তোলার নানা কার্যক্রম করেছেন ইতোমধ্যে। কখনো কলেজ, মাদ্রাসা, বিদ্যালয়ে ইউএনওর ঝটিকা অভিযানের ফলে নিয়ম মাফিক চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রম। বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন করেছেন সরকারী নির্দেশনা অনুয়ায়ী । যা ইতিপূর্বে মিঠাপুকুর উপজেলাবাসী খুব কমই দেখেছেন। তরুণ স্বেচ্ছাসেবী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের ‘আইডল’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন ইতোমধ্যেই।
সম্প্রতি ছাত্রদের নিয়ে মিঠাপুকুর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও বাজারের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে উপজেলা বাসীকে দীর্ঘদিনের ট্রাফিক জ্যাম থেকে মুক্তি দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন তিনি। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ছাত্রদের বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অনুপ্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন এই ইউএনও। সব মহলের চাপকে উপেক্ষা করে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ‘ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়’র খেলার মাঠ সংরক্ষণে অবৈধ দখলীকৃত মাঠের জমি উদ্ধার করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে দেন তিনি। এতে সন্ধ্যার পর মাঠে মাদকাসক্তদের আড্ডা বন্ধ হয়ে গেছে।
মাদকমুক্ত উপজেলা গড়তে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনও করেন তিনি প্রতি বছর। এতে করে বিকেশিত প্লেয়ার তৈরী হচ্ছে।
মিলনপুর ইউনিয়নের ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয়ের তালিকা যাচাই-বাছাই করে প্রায় ৫ শতাধিক ভুয়া কার্ড সনাক্ত করে সে সকল কার্ড বাতিলের ব্যবস্থা করেন এবং টিসিবি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চলমান অনিয়ম বন্ধ করে দেন তিনি। বিএডিসি’র সেচ লাইসেন্স প্রদানে দীর্ঘদিন ধরে চলমান সিন্ডিকেটের অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করে হয়রানি মুক্তভাবে শুধুমাত্র সরকারি ফি’তে লাইসেন্স প্রদান নিশ্চিত করেন।
৭ নং লতিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী মন্ডলের যোগসাজশে এক ব্যক্তি উপজেলা কমিটির লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে সেচের বোরিং করার খবর পেলে তাকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করেন ইউএনও। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মনিবন্ধন সংক্রান্ত যে কোন সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি ফি’র অতিরিক্ত অর্থ নেয়া বন্ধ করতেও ভূমিকা রয়েছে তার। তাছাড়া জরুরি জন্মনিবন্ধন সংশোধনের প্রয়োজনে কেউ তার কাছে গেলেই তিনি তৎক্ষনাৎ তা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করেন। সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ইউএনও। বিগত সরকারের সময় বড়বালা ইউনিয়নে সরকারি গাছ কর্তনের দায়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের এক নেতা সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে সাধারণ মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
এছাড়াও বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সময় সন্প্রতি মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের জায়গায় অবৈধভাবে ছাউনি দিয়ে দখল করা জায়গা উচ্ছেদ করে এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন এবং ঢাকা- রংপুর মহাসড়কের ধারে ও শঠিবাড়ী হাটের সকল অবৈধ ফুটপাত দখল ১ সপ্তাহের নোটিশে উচ্ছেদ করে রাস্তার যানজট নিয়ন্ত্রণ করেন। অন্যদিকে ইমাদপুর ইউনিয়নের বৈরাতী হাটের সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সহ ঐতিহ্যবাহী শঠিবাড়ী হাটের ।