
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতাঃ কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার সিমান্তবর্তী চিলমারী এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দুই থানার মোড় এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত দুদিন ধরে দুই গ্রামের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এতে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বেশ কিছু বাড়ী-ঘরে অগ্নিকান্ড সংঘটিত হওয়ারও অভিযোগ এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ঘোষনা দিয়ে দুই এলাকার বাসিন্দার মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর টিম আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
জানা গেছে,কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার মধ্যবর্তী নির্মাণাধীন হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতুর চিলমারী প্রান্তে দুই থানারমোড় এলাকায় ছবি তুলতে গিয়ে সামান্য বিষয় নিয়ে হাসাহাসির সৃষ্টি হয়।এক পর্যায়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবকদের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির সৃষ্টি হয় এবং তা দুই উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে।ওই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত দুদিন ধরে রমনা ও হরিপুর ইউনিয়ন বাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এতে দুই এলাকার মানুষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশকয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।বেশ কিছু বাড়ী-ঘরে অগ্নিকান্ড ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ঘোষনা দিয়ে সকাল থেকে দুই গ্রামের বাসীন্দাদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টিম আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি,জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে দুই উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সমাধান করে দেন তারা।
রমনা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা জানান,সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরে সকলে মিলে বসে উদ্ভুত পরিস্থিতির সমাধান করা হয়েছে।