
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ধুলাবালি মিশ্রিত পাথর ও প্রাইমকোট ছাড়াই কার্পেটিংয়ের কাজ করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেখানে কাজ চলমান অবস্থায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাউকে চোখে পড়েনি৷ অনিয়ম আর মনগড়া ভাবে কাজ প্রায় শেষই করেছেন প্রতিষ্ঠানটি৷এতে রাস্তাটির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সচেতন মহল। তারা মনে করছেন, বন্যা প্রবণ এলাকা, এছাড়াও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলে ওই রাস্তার কার্পেটিং উঠে যাবে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্র জানায়,স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের(এলজিইডি) গ্রামীণ অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার রাজিবপুর জিসি থেকে কোদালকাটি জিসি সড়ক পর্যন্ত ৭৮০মিটার,রৌমারী উপজেলার রৌমারী থানা মোড় হতে বাঞ্জারচর সড়ক পর্যন্ত ১হাজার ৩৮০মিটার এবং চিলমারী উপজেলার শরিফের হাট হতে কাশিমবাজার পর্যন্ত ২হাজার ১১০মিটার রাস্তা পুনর্বাসন করনের কাজ শুরু করা হয়। কাজ তিনটির প্যাকেজ চুক্তি মূল্য ৩ কোটি ৭২লক্ষ ৮হাজার ১১৬টাকা। কাজটি কুড়িগ্রামস্থ মেসার্স বসুন্ধরা জেভি নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন করছেন।এটি ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর শুরু হয়ে ২০২৬ সালের ৩ জানুয়ারি তারিখে শেষ হওয়ার কথা।
সরেজমিনে শরীফেরহাট এলাকায় গেলে দেখা যায়, রাস্তাটির কার্পেটিংয়ের আগে প্রাইমকোট ছাড়াই ধুলাবালু মিশ্রিত পাথর দিয়ে রাস্তায় কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। ধুলোবালির উপরেই কার্পেটিং করছেন তারা।রাস্তার কাজ চললেও সেখানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাউকে চোখে পড়েনি।
এসময় স্থানীয় বজলুর রহমান জানান,রাস্তাটির কাজ খুব খারাপ হচ্ছে। আমরা স্থানীয়ভাবে এটি প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও ঠিকাদারের লোকজন আমাদের কথা শুনছে না। এই রাস্তা যে কতদিন টিকবে? নুর ইসলাম নামে দায়িত্বরত এক মিস্ত্রি বলেন,আমরা আগে এরকম রাস্তার কাজে পাথর ধুয়ে কার্পেটিং এর কাজ করতাম।কিন্তু এখন ইঞ্জিনিয়াররা বলেন ধুলাবালি মিশ্রিত করে কার্পেটিং করতে।
এবিষয়ে চিলমারী উপজেলা প্রকৌশলী(চ.দা.) জুলফিকার আলী বলেন বিষয়টি আমার দৃষ্টি গোচরে এসেছে। আমাকে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে হবে।