Dhaka ০৫:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে মাসব্যাপী ইফতার ও রাতের খাবার কর্মসূচিতে জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ সুন্দরগঞ্জের শান্তিরামে প্রতিবেশিকে ফাঁসাতে হত্যা মামলাঃ পুলিশি পাহাড়ায় বিবাদী পরিবার সাদুল্লাপুরে যুব সমাজের উদ্যোগে গণ ইফতার অনুষ্ঠিত সুন্দরগঞ্জে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ওপেন হাউজ ডে ও কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ীতে মাদক বিরোধী অভিযানে ৩ মাদকসেবীর কারাদন্ডসহ জরিমানা ঠাকুরগাঁওয়ে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েও ফিরে পেলনা সন্তানকে, প্রেমের ফাঁদে অপহরণের শিকার মিলনের লাশ উদ্ধার পলাশবাড়ীর বহুল আলোচিত সাকিব হত্যা মামলা দৈনিক গণমানুষের আওয়াজ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ঘোড়াঘাটে কুরআন সবক প্রদান অনুষ্ঠিত

চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাঙন অব্যাহত হুমকিতে ডানতীর রক্ষা প্রকল্প

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২১ Time View

 

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতাঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের পিচিংয়ের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নদী পাড়ের মানুষ।হুমকির মুখে ডানতীর রক্ষা প্রকল্প।উপজেলার ফকিরেরহাট জকরিটারী এলাকায় ১মাস ধরে অব্যাহত ভাঙনকে ঘিরে ওই এলাকার মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক দেখা দিলেও কর্তৃপক্ষের সারা নেই বলে তাদের অভিযোগ।
জানাগেছে,ব্রহ্মপুত্র নদের কড়াল গ্রাস থেকে চিলমারীকে রক্ষার জন্য ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে নদের ডানতীর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ রাস্তাটি ব্লকপিচিং করা হয়।প্রকল্পের আওতায় উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট এলাকা থেকে রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছহাট বাজার পর্যন্ত এলাকার কাজ সম্পন্ন করা হয় কয়েক ধাপে। পরবর্তীতে কয়েক দফা পিচিংয়ে ধস দেখা দিলে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে তা মেরামত করা হয়।
সম্প্রতি উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট ঘাটের দক্ষিণে জকরিটারী এলাকায় ব্লক পিছিংয়ের নিচে কয়েক দফায় প্রায় তিনশ মিটার জায়গা নদীতে ভেঙে যায়। প্রায় এক মাস আগে থেকে এ ভাঙন শুরু হলেও সংশ্লিষ্টদের কোন সারা মেলেনি বলে ভাঙন এলাকার স্থানীয়দে দাবী। এক মাসের ব্যবধানে ৪জায়গায় পিচিংব্লকে ভাঙন দেখা দেয়ায় চরমভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বার বার নদী ভাঙ্গনের শিকার হওয়া নদী তীরবর্তি এলাকার মানুষ। হুমকির মুখে রয়েছে ডানতীর রক্ষা প্রকল্পসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও আবাদী জমি।
সরেজমিনে শনিবার সকালে ফকিরেরহাট জকরিটারী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রায় তিনশ মিটার জায়গা ব্লকসহ নদীতে ভেঙে গেছে। এসময় ওই এলাকার আব্দুর মজিদ,আ.আজিজ,মজির উদ্দিন, গয়ছুদ্দিন ও নাসির মাষ্টারসহ অনেকে জানান,প্রায় ১মাস আগে থেকে শুরু হয় এই এলাকায় নদী ভাঙন। গত কাল ফজরের নামাজের পর নদী ভাঙনের তান্ডব শুরু হলে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় ফোন করা হলেও কেউ সারা দেয়নি।
তারা আরও জানান,ভাঙন দেখা দেয়ার মাস পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি।এখনই এটি সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে চৈত্রি মাসের ঢলে ডানতীর ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন তারা। ওই এলাকার সিফাত হাসান নামে ছাত্র বলে,রাত ১২টা পর্যন্ত মাছ ধরে এখানেই জাল রেখে গেছিলাম। ভোর বেলায় এসে দেখি নদী ভাঙনের সাথে আমার জালও চলে গেছে।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল কাদের এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে পাঠিয়ে বিষয়টি খোঁজ নেয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক বলেন,ফকিরেরহাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। ফকিরেরহাট এলাকার ভাঙন সম্পর্কে জেলা সমন্বয় সভায় বলেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

 

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

kartick kartick

Popular Post

গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে মাসব্যাপী ইফতার ও রাতের খাবার কর্মসূচিতে জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ

চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাঙন অব্যাহত হুমকিতে ডানতীর রক্ষা প্রকল্প

Update Time : ০৮:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতাঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের পিচিংয়ের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নদী পাড়ের মানুষ।হুমকির মুখে ডানতীর রক্ষা প্রকল্প।উপজেলার ফকিরেরহাট জকরিটারী এলাকায় ১মাস ধরে অব্যাহত ভাঙনকে ঘিরে ওই এলাকার মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক দেখা দিলেও কর্তৃপক্ষের সারা নেই বলে তাদের অভিযোগ।
জানাগেছে,ব্রহ্মপুত্র নদের কড়াল গ্রাস থেকে চিলমারীকে রক্ষার জন্য ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে নদের ডানতীর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ রাস্তাটি ব্লকপিচিং করা হয়।প্রকল্পের আওতায় উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট এলাকা থেকে রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছহাট বাজার পর্যন্ত এলাকার কাজ সম্পন্ন করা হয় কয়েক ধাপে। পরবর্তীতে কয়েক দফা পিচিংয়ে ধস দেখা দিলে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে তা মেরামত করা হয়।
সম্প্রতি উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট ঘাটের দক্ষিণে জকরিটারী এলাকায় ব্লক পিছিংয়ের নিচে কয়েক দফায় প্রায় তিনশ মিটার জায়গা নদীতে ভেঙে যায়। প্রায় এক মাস আগে থেকে এ ভাঙন শুরু হলেও সংশ্লিষ্টদের কোন সারা মেলেনি বলে ভাঙন এলাকার স্থানীয়দে দাবী। এক মাসের ব্যবধানে ৪জায়গায় পিচিংব্লকে ভাঙন দেখা দেয়ায় চরমভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বার বার নদী ভাঙ্গনের শিকার হওয়া নদী তীরবর্তি এলাকার মানুষ। হুমকির মুখে রয়েছে ডানতীর রক্ষা প্রকল্পসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও আবাদী জমি।
সরেজমিনে শনিবার সকালে ফকিরেরহাট জকরিটারী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রায় তিনশ মিটার জায়গা ব্লকসহ নদীতে ভেঙে গেছে। এসময় ওই এলাকার আব্দুর মজিদ,আ.আজিজ,মজির উদ্দিন, গয়ছুদ্দিন ও নাসির মাষ্টারসহ অনেকে জানান,প্রায় ১মাস আগে থেকে শুরু হয় এই এলাকায় নদী ভাঙন। গত কাল ফজরের নামাজের পর নদী ভাঙনের তান্ডব শুরু হলে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় ফোন করা হলেও কেউ সারা দেয়নি।
তারা আরও জানান,ভাঙন দেখা দেয়ার মাস পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি।এখনই এটি সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে চৈত্রি মাসের ঢলে ডানতীর ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন তারা। ওই এলাকার সিফাত হাসান নামে ছাত্র বলে,রাত ১২টা পর্যন্ত মাছ ধরে এখানেই জাল রেখে গেছিলাম। ভোর বেলায় এসে দেখি নদী ভাঙনের সাথে আমার জালও চলে গেছে।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল কাদের এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে পাঠিয়ে বিষয়টি খোঁজ নেয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক বলেন,ফকিরেরহাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। ফকিরেরহাট এলাকার ভাঙন সম্পর্কে জেলা সমন্বয় সভায় বলেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।