চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধিচার শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে


প্রকাশের সময় : জুন ২২, ২০২৩, ৯:০৩ অপরাহ্ণ / ৩৪
চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধিচার শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে

গোলাম মাহবুব,চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল আর বৃষ্টিপাতের ফলে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা সুই সুই করছে। পানি বৃদ্ধির সাথে ব্রহ্মপুত্র নদে তিব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চরবড়ভিটায় ৩৫০বাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় ৪শতাধিক বাড়ী-ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। নর্দী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরও তিন শতাধিক পরিবার।
জানা গেছে,ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ৫২ সে.মি.নিচ নিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এতে উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চরবড়ভিটা, নয়ারহাট ইউনিয়নের বজরা দিয়ার খাতা ও চিলমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ৪শতাধিক বাড়ী নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে।
সরেজমিনে ভাঙনকবলিত চরে গিয়ে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ার সাথে সাথে নদীর তীব্র স্রোত চরবড়ভিটা এলাকায় সরাসরি আঘাত হানছে। এতে দ্রুত সময়ে ভেঙে যাচ্ছে চরটি। এ সময় অনেককে তাদের বাড়ী-ঘর সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ চরটির সামন থেকে অবৈধভাবে বাল্কহেড দিয়ে নদ থেকে বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়া দিনমজুর আশাদুল ইসলাম জানান, তিনি ইতোমধ্যে আরও দুইবার ভাঙনের কবলে পড়েছিলেন। তিনি জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৩৫০শতাধিক পরিবার ভাঙনের কবলে পড়ে ভিটে মাটি হারিয়েছেন। এই ভাঙনেও তার ভিটেবাড়ি নদী গর্ভে গেছে। বর্তমানে তিনি সামনের চরবড়ভিটার আরেকটি অংশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিয়েছেন।
নদী ভাঙনের শিকার আব্দুল কাদের জানান, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড চর বড়ভিটা প্রায় সবটুকুই নদে চলে গেছে।এবন্যায় তিনি ভাঙনের শিকার হয়ে ভাঙনকবলিত চরের একটু দুরেই আশ্রয় নিয়েছেন।তার অভিযোগ ভাঙনরোধে নেয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ।
নয়ারহাট ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যেহারে ভাঙন শুরু হয়েছে এতে ২৫০ থেকে তিন শতাধিক পরিবার ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। ভাঙনের স্বীকার হয়ে অনেকেই এখন কাজল ডাঙার চরে আশ্রয় নিয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকাটি পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। আর ভাঙন রোধে যেহেতু পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।