
চিলমারী(কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতাঃ কুড়িগ্রামের চিলমারিতে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি শিশুর জন্ম হয়েছে।ওই শিশুটি উপজেলার মজাইডাঙা রামধনিরপাড় এলাকার মুকুল মিয়ার স্ত্রীর বলে জানা গেছে। সারা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সে সিজারের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়।
জানা গেছে,উপজেলার মজাইডাঙ্গা রামধনীরপাড় এলাকার মুকুল মিয়ার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে মঙ্গলবার তাকে সারা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।সেখানে রাত ৮টার দিকে ডা.তৌফিকুল ইসলাম সিজার করে শিশুটিকে বের করেন।সিজারের পর দেখা যায় শিশুটির গায়ের চামড়া কারটিলেসের মতো,লাল মাংসপিন্ডের মত চোখ এবং অস্বাভাবিক আকৃতির মুখ। তার সম্পূর্ণ শরীর ফাটাফাটা। অস্বাভাবিক আকৃতির শিশু প্রসবের খবর ছড়িয়ে পড়লে তাকে দেখতে হাসপাতালে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। শিশুটিকে নিয়ে ওই নারী সুস্থ অবস্থায় হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় শিশুটিকে কম্বল দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা হয়েছে।সেখানে সে নিয়মিত তার মায়ের বুকের দুধ পান করে এবং ঘুমায়।সম্পূর্ণ শরীর ফেটে যাওয়ায় গায়ের কাপড় সরালে কষ্টে কাতরাচ্ছে শিশুটি। শিশুটির দাদী মনোয়ারা বেগম বলেন,আমার ছেলে ভ্যানগাড়ী চালায়ি যা আয় করে তাই দিয়ে চলে আমাদের সংসার। বর্তমানে সে গাড়িও চলে না। সিজার করার পর ডাক্তার শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য রংপুরে নিয়ে যেতে বলেছিলেন, কিন্তু আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসা করাতে পারছি না। এমন কি ক্লিনিকে সিজারের বিল ও পরিশোধ করতে পারছি না। শিশুটির চিকিৎসার জন্য বিত্তশালীদের নিকট আর্থিক সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
ডা.তৌফিকুল ইসলাম জানান,কনজানিটাল এ্যাবনরমাল বেবীটি কি কারনে এরকম হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। মেডিকেল কলেজে নিয়ে শরীরের ঘাটতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। সিজারের পর শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। যোগাযোগ মো.মুকুল মিয়া মোবাইলঃ ০১৯৫০-০১২৭৭৮