Dhaka ১১:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
রাণীনগরে শিশু ও বাকপ্রতিবন্ধী বাবার দ্বি-খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার চরাঞ্চলের চাষীদের মাঝে কৃষি উপকরণ প্রদান বোনারপাড়া বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী ২৫ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের ভারতে যাবার প্রাক্কালে বিজিবি’র হাতে আটক দু নারী ও শিশু রাণীনগরে মাজার-ঈদগাঁর ৯০লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ২৭ নভেম্বর,২০২৪ খ্রি.।। ম্ঙ্গলবার পীরগঞ্জের আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবীতে মানবন্ধন জলবায়ু পরিবর্তন ও নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিমিয় সভা সাঘাটায় বিশ্ব টয়লেট ডে উদযাপন ঘোড়াঘাটে যৌথ বাহিনীর অভিযান অস্ত্রসহ যুবক আটক

গোবিন্দগঞ্জে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক পৌর মেয়র, সাংবাদিকসহসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৪৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৯ Time View

গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গোবিন্দগঞ্জের সাবেক পৌর মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি, ওলামা লীগের গোবিন্দগঞ্জ শাখার সভাপতি হোসাইন আহম্মেদ ও সাংবাদিক মোস্তফা কামাল সুমনসহ ১১ জনের নামোল্লেখ করে এবং সাত/আট জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তানভীর নামে এক যুবক এ মামলাটি দায়ের করেছেন। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম মামলা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল তানভীর মোটরসাইকেল যোগে বাসায় যাওয়ার পথে গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতের প্রধান ফটকের সামনে মিন্টু শেখ, মোস্তফা কামাল সুমন, জহুরুল ইসলাম সবুজ সহ ২০/২৫ জন পৌর মেয়র মুকিতুর রহমান রাফির নির্দেশে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তানভীরের উপর আক্রমণ চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা তানভীরকে ছুরিকাঘাতসহ বেদম মারপিট করে। তানভীরকে রক্ষার জন্য রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তি এগিয়ে আসলে তাকেও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে তার পা ভেঙ্গে দেয়। সন্ত্রাসীরা তানভীরের মোটর সাইকেলটিও ছিনিয়ে নিয়ে যায় এ সময়। গুরুতর আহত তানভীরকে প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত রুহুল আমিনকে বগুড়ার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
মামলার বাদী তানভীর জানান, তার বাবা রাজনীতিতে ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ায় তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা তার উপর আক্রমণ চালিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় থানায় মামলা দায়েরের চেষ্টা করা হলেও রাজনৈতিক প্রভাবে থানা মামলা গ্রহণ করেনি। বর্তমানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসায় তিনি ১১ নভেম্বর ১১জন নামীয় আসামীসহ ৭/৮ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন। গোবিন্দগঞ্জ থানা তার মামলাটি গ্রহণ করেছেন।
এদিকে মামলার ২নং আসামী মোস্তফা কামাল সুমন মামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সামাজিক মাধ্যমে গোবিন্দগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকসহ প্রেসক্লাবকে নিয়ে নানা মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে গোবিন্দগঞ্জ প্রেসক্লাব। প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে জানানো হয়, ওই মামলার সাথে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বা কোন সদস্যের কোন ইন্ধন বা দূরতম সম্পর্কও নেই। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য মোস্তফা কামাল সুমন প্রেসক্লাবকে টেনে আবোলতাবোল লিখছে। অন্যদিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুননবী প্রধান তাকে নিয়ে মোস্তফা কামাল সুমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে মিথ্যাচার করেছে তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

রাণীনগরে শিশু ও বাকপ্রতিবন্ধী বাবার দ্বি-খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার

গোবিন্দগঞ্জে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক পৌর মেয়র, সাংবাদিকসহসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Update Time : ১১:৪৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গোবিন্দগঞ্জের সাবেক পৌর মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি, ওলামা লীগের গোবিন্দগঞ্জ শাখার সভাপতি হোসাইন আহম্মেদ ও সাংবাদিক মোস্তফা কামাল সুমনসহ ১১ জনের নামোল্লেখ করে এবং সাত/আট জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তানভীর নামে এক যুবক এ মামলাটি দায়ের করেছেন। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম মামলা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল তানভীর মোটরসাইকেল যোগে বাসায় যাওয়ার পথে গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতের প্রধান ফটকের সামনে মিন্টু শেখ, মোস্তফা কামাল সুমন, জহুরুল ইসলাম সবুজ সহ ২০/২৫ জন পৌর মেয়র মুকিতুর রহমান রাফির নির্দেশে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তানভীরের উপর আক্রমণ চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা তানভীরকে ছুরিকাঘাতসহ বেদম মারপিট করে। তানভীরকে রক্ষার জন্য রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তি এগিয়ে আসলে তাকেও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে তার পা ভেঙ্গে দেয়। সন্ত্রাসীরা তানভীরের মোটর সাইকেলটিও ছিনিয়ে নিয়ে যায় এ সময়। গুরুতর আহত তানভীরকে প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত রুহুল আমিনকে বগুড়ার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
মামলার বাদী তানভীর জানান, তার বাবা রাজনীতিতে ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ায় তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা তার উপর আক্রমণ চালিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় থানায় মামলা দায়েরের চেষ্টা করা হলেও রাজনৈতিক প্রভাবে থানা মামলা গ্রহণ করেনি। বর্তমানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসায় তিনি ১১ নভেম্বর ১১জন নামীয় আসামীসহ ৭/৮ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন। গোবিন্দগঞ্জ থানা তার মামলাটি গ্রহণ করেছেন।
এদিকে মামলার ২নং আসামী মোস্তফা কামাল সুমন মামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সামাজিক মাধ্যমে গোবিন্দগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকসহ প্রেসক্লাবকে নিয়ে নানা মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে গোবিন্দগঞ্জ প্রেসক্লাব। প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে জানানো হয়, ওই মামলার সাথে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বা কোন সদস্যের কোন ইন্ধন বা দূরতম সম্পর্কও নেই। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য মোস্তফা কামাল সুমন প্রেসক্লাবকে টেনে আবোলতাবোল লিখছে। অন্যদিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুননবী প্রধান তাকে নিয়ে মোস্তফা কামাল সুমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে মিথ্যাচার করেছে তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন।