গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) সংবাদদাতাঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তাজপুর গ্রামে দেহ ব্যবসার অপবাদে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।রোববার (৬আগস্ট/২৩) সকালে এ ঘটনায় ভুক্তভোগি মোশারফ হোসেন স্থানীয় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।তিনি একই ইউনিয়নের সুন্দইল পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত সাদেক আলীর ছেলে।
¯’ানীয় গৃহবধূ মেন্নেকা বেগম জানান, মোশারফ হোসেন দেড়যুগ পূর্ব থেকে তাজপুর খাস জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে স্ব পরিবারে বসবাস করে আসছেন।গত শুক্রবার বেলা ৩ টার দিকে নুরজাহান নামে একটি মেয়েকে ধাওয়া করে কয়েকজন বখাটে।বখাটেদের হাত থেকে রেহাই পেতে মেয়েটি আশ্রয় নেয় মোশারফের বাড়িতে। কিš‘ সেখানে আশ্রয় নিয়েও শেষ রক্ষা তার হয়নি।
মোশারফ হোসেন জানান, তার কাছে মেয়েটিকে চায় বখাটেরদল।কিন্ত নুরজাহানকে তাদের হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করায় ক্ষেপে যায় বখাটেরা।এক পর্যায়ে তারা দেহব্যবসায়ী হিসেবে তাকে আখ্যায়িত করে অ্যালোপাথারী মারধর করে।মোশারফ হোসেন জীবনের ভয়ে পালিয়ে গেলে বখাটেরা হামলা চালিয়ে তার বাড়ির বাউন্ডারিসহ শোয়ার ঘরের বেড়া ভাংচুর করে নিয়ে যায়। তারা এই সুযোগে মেয়েটিকেও নিয়ে যায় বলে জানান মোশারফ হোসেন।
ভুক্তভোগি নুরজাহান খাতুন এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পৌর এলাকার বোয়ালিয়া গ্রামস্থ ভগ্নিপতি আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে কাটাখালী ব্রীজের উত্তর পাশে পৌঁছিলে তাকে কয়েকজন যুবক ধাওয়া করে। প্রাণের ভয়ে তাড়াখেয়ে পাশ্ববর্তী মোশারফের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি তার।মোশারফকে মারধরসহ ঘরবাড়ি ভাংচুর করে সেখান থেকে তাকে ওই বাড়ির পশ্চিম পাশে পুকুর ধারে নিয়ে যাওয়া হয়। পুকুর ধারে তাকে অ্যালোপাথারী মারধল করে কাছে থাকা নগত অর্থ ও মোবাইল ফোনটি বখাটেরা কেঁড়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন এই নারী।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ অভিযোগ পাওয়ার কথাস্বীকার করে জানান, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :