গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আনন্দ মিছিলে হামলা দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৩৩ নেতা-কর্মীর জামিন নাকচ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট চৌকি আদালতের বিজ্ঞ বিচারক নাজমুল হাসান জামিনের আবেদন নাকচ করে তাদেরকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে মামলার প্রধান আসামী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল অনুপস্থিত ছিলেন।
আদালতের সিএসআই উপ-পুলিশ পরিদর্শক শরীফ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এর আগে ওইদিন সকাল ১০ টার দিকে তারা স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। কারাগারে পাঠানো নেতারা হলেন- আল আমিন (৩২), রুহুল আমিন (২৬), ফজলে করিম চুন্নু (৫২), মুনছুর আলী (৩৮), মজনু মিয়া (৩৫), সাফায়াত হোসেন (২৭), আতিকুর রহমান (৩৫), হাবিবুর রহমান (২৭), আব্দুল আলিম (৪২), মমজেদ আলী (৫২), নূরুন্নবী (৫৫), সুমন মিয়া (৩২), আজিজার রহমান (৪৮), জাফিরুল ইসলাম (৪০), আব্দুর রাজ্জাক (৩৮), আব্দুল খালেক (৪৮), নূর আলম (৩৫), শহিদুল ইসলাম (৩৬), মজিবর রহমান (৫০), রেজাউল করিম রফিক (৪২), মাজেদুল ইসলাম মাহিন (৩৫), রেজাউল করিম রাজা (৫২), ছাইদুর রহমান (৩৮), বুলু মিয়া (৩৫), ছালজার রহমান (৩৬), আব্দুল হামিদ (৫৮), রফিক মিয়া (৫৫), আবু তাহের (৫২), আবু মিয়া (৫৫), মতি মিয়া (৫৮), বাবলু মিয়া (৪৫), আব্দুল খালেক (৩৭) এবং অসীম মিয়া (৩৫)।
মামলার বাদী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের ফুলপুকুরিয়া বাজারের চা’য়ের দোকানদার শাহজাহান আলী জানান, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা ফুলপুকুরিয়া বাজারে ওইদিন একটি আনন্দ মিছিল করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিলে হামলাসহ তার চায়ের দোকানটি ভাংচুর ও লুটপাট করে। এরই প্রেক্ষিতে তিনি গোবিন্দগঞ্জ থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়াম্যান শাকিল আলম বুলবুলসহ ৪২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ২০০/২৫০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলার এজাহার নামীয় ৪২ জন আসামীর মধ্যে ৩৩ জন মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বুলবুলসহ অবশিষ্ট ৯ জন পলাতক রয়েছে।