প্রতিনিধি, গাইবান্ধা:
গাইবান্ধা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি নং- রাজ ১০৭) ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে আশরাফুল আলম বাদশা এবং সাধারণ সম্পাদক পদে এ্যাড. গৌতম কুমার চক্রবর্তী বিশু নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে শুক্রবার জেলা শহরের পুরাতন জেলখানা এলাকায় গাইবান্ধা বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এরপর বিভিন্ন পদের ব্যালট আলাদা করার পর শুরু হয় ভোট গণনা। শনিবার সকালে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ৯ সদেস্যের ভোটগ্রহণের দায়িত্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত শাখা) মো. সাদরুল আলম।
গাইবান্ধা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি নং- রাজ ১০৭) নির্বাচনে এবার ভোটারের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৬৫০ জন। এরমধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ৫ হাজার ১২৯ জন ভোটার।
নির্বাচনে ১৭টি পদের বিপরীতে ৫৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে সভাপতি ১টি পদের বিপরীতে ২ জন, কার্যকরী সভাপতি ১টি পদের বিপরীতে ৪ জন, সহসভাপতি ১টি পদের বিপরীতে ৬ জন, সাধারণ সম্পাদক ১টি পদের বিপরীতে ২ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ২টি পদের বিপরীতে ৪ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ১টি পদের বিপরীতে ৩ জন, অর্থ সম্পাদক ১টি পদের বিপরীতে ৪ জন, সড়ক সম্পাদক ২টি পদের বিপরীতে ৬ জন, দপ্তর সম্পাদক ১টি পদের বিপরীতে ৩ জন, প্রচার সম্পাদক ১টি পদের বিপরীতে ৩ জন, ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ১টি পদের বিপরীতে ৩ জন ও কার্যকরী সদস্য ৪টি পদের বিপরীতে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
সভাপতি পদে মাছ প্রতিকে আশরাফুল আলম বাদশা ২ হাজার ৮১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী স্টিয়ারিং প্রতিকে আব্দুর রশিদ সরদার পেয়েছেন ২ হাজার ১১৮ ভোট।
কার্যকরী সভাপতি পদে ফুটবল প্রতিকে মো. ময়নুল হক বি.এ ২ হাজার ৮৫ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গোলাপফুল প্রতিকে মো. আমিনুর রহমান আমিন পেয়েছেন ১ হাজার ৩৬০ ভোট।
সহ-সভাপতি পদে ছাতা প্রতিকে মো. আব্দুল মজিদ ১ হাজার ৩১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তালা প্রতিকে মো. হিরু মিয়া পেয়েছেন ১ হাজার ১৫০ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে চাবি প্রতিকে এ্যাড. গৌতম কুমার চক্রবর্তী বিশু ২ হাজার ৫৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হাতুড়ী প্রতিকে মো. জামিনুর রহমান জামিন পেয়েছেন ২ হাজার ৩৭৮ ভোট।
সহ-সাধারণ সম্পাদক এর ২টি পদে নির্বাচন করেছেন ৪জন প্রার্থী। এরমধ্যে বাস প্রতিকে ২ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ এবং কেচি প্রতিকে মো. রওশন মিয়া ২ হাজার ৩৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাদের নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাজমহল প্রতিকে মো. হাসাবুল হাসান দিনার পেয়েছেন ১ হাজার ৮৭৫ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছেন ৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে তলোয়ার প্রতিকে ১ হাজার ৬৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. শামীম রহমান শামীম। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাঞ্জা প্রতিকে মো. মশিউর রহমান হীরা পেয়েছেন ১ হাজার ৫৮১ ভোট।
অর্থ সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছেন ৪ জন প্রার্থী। এরমধ্যে একতারা প্রতিকে ২ হাজার ৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আমজাদ হোসেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্লায়ার্স প্রতিকে মো. হারুন অর রশিদ পেয়েছেন ১ হাজার ২২২ ভোট।
সড়ক সম্পাদক এর ২টি পদে নির্বাচন করেছেন ৬ জন প্রার্থী। এরমধ্যে ট্রাক প্রতিকে ১ হাজার ৮০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আতিকুর রহমান এবং টেলিভিশন প্রতিকে মো. অহেদুল ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ৫৩৭ ভোট। তাদের নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঘোড়া প্রতিকে মো. সুমন মিয়া পেয়েছেন ১ হাজার ৪৩০ ভোট।
দপ্তর সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছেন ৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে মাইক প্রতিকে ২ হাজার ১০৪ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন মো. আশরাফুল আলম ফরিদ। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিক্সা প্রতিকে মো. ছলিম উদ্দিন সরকার সেলিম পেয়েছেন ১ হাজার ৩২৫ ভোট।
প্রচার সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছেন ৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে করাত প্রতিকে ১ হাজার ৯০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. রাশেদুল ইসলাম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চেয়ার প্রতিকে মো. নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ৫৬২ ভোট।
ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছেন ৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে ক্রিকেট ব্যাট প্রতিকে ১ হাজার ৮৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বাবুল আহম্মেদ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বটগাছ প্রতিকে মো. আহসান হাবিব মণ্ডল পেয়েছেন ১ হাজার ৪১৫ ভোট।
এছাড়া কার্যকরী সদস্য এর ৪টি পদে লড়াই করেছেন ১৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে বেজী প্রতিকে ১ হাজার ৬৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মুরাদ মিয়া, টায়ার প্রতিকে ১ হাজার ৬২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. সজিব মিয়া, গাভী প্রতিকে ১ হাজার ৫৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আবু তাহের, পালকী প্রতিকে ১ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মুক্তার হোসেন।