Dhaka ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধার বোয়ালী ইউনিয়নের থানসিংহপুরে পৈত্রিক সম্পত্তির সমান ভাগ চাওয়ায় ভাতিজাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৩০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৭৪ Time View

 

স্টাফ রিপোর্টঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের থানসিংহপুর গ্রামে পৈত্রিক সম্পত্তির সমান ভাগ চাওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে মনোমালিন্য এবং ঝগড়া-ঝাড়ি চলে আসছে।
একপর্যায়ে প্রাণনাশের হুমকিও প্রদান করে আসছে প্রতিপক্ষ। এঘটনায় একাধিকবার গ্রাম্যসালিশ হলেও প্রতিকার পায়নি সুজন চন্দ্র বর্মন, ভাতিজা রাজিব কুমার বর্মন ও আপন কুমার বর্মন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মৃত পরমেশ^র চন্দ্র বমর্ণের ছেলে মৃত ধীরেন চন্দ্র বর্মন, সুপত চন্দ্র বর্মন, সুজন চন্দ্র বর্মন, সুমন চন্দ্র বর্মন, রাজন চন্দ্র বর্মন ও উত্তম কুমার বর্মন উক্ত সম্পত্তির মালিক।
কিন্তু সুজন চন্দ্র বর্মন, মৃত ধীরেন চন্দ্র বর্মনের ছেলে রাজিব কুমার বমর্ন ও আপন কুমার বর্মন উক্ত জমি দখল করতে গেলে সুপত চন্দ্র বর্মন, সুমন চন্দ্র বর্মন, রাজন চন্দ্র বর্মন ও উত্তম কুমার বর্মন বাধা প্রদান করেন এবং জীবন নাশের হুমদি দিচ্ছেন।
বিগত ৩ জুলাই ২০১৯ সালে পরমেশ^র চন্দ্র বর্মণ মৃত বরণ করলে ওয়ারিশ সূত্রে তার ছেলেরা উক্ত সম্পত্তির মালিক হন। কিন্তু পরমেশ^র চন্দ্র বর্মণ জীবিত থাকা অবস্থায় তিনি ছেলেদেরকে বসতবাড়ী করার জন্য নিজ বাড়ীতেই ঘরদজা তুলে বসবাস করতে থাকেন।
পরমেশ^র চন্দ্র বর্মণ মৃতুর কিছুদিন পর তার বড় ছেলে ধীরেন চন্দ্র বর্মনও মৃত্যু বরণ করেন। জীবিত থাকা অবস্থায় উক্ত সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা হয়নি যৌথভাবে থাকার কারণে।
পরমেশ^র চন্দ্র বর্মণ জীবিত অবস্থায় তার বড় ছেলে ধীরেন চন্দ্র বর্মন ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে সে বাবার কাছ থেকে ৮শতাংশ জমি বিক্রি করে চিকিৎসা করান। সেই সুযোগে অন্যান্য ৫ ছেলেরা ১৬ শতাংশ জমি লিখে নেন বাবার কাছে। কিন্তু ধীরেন চন্দ্র বর্মন দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকায় বাকী ৮ শতাংশ জমি লিখে নিতে পারেননি বাবার কাছ থেকে। গত ৩ জুলাই ২০১৯ সালে পরমেশ^র চন্দ্র বর্মন মৃত্যুবরণ করেন এবং তার বড় ছেলে ধীরেন চন্দ্র বর্মনও ২৩ সেপ্টেম্বর মৃত্যু বরণ করেন। সম্পত্তির বাকী ৮ শতাংশ জমি অন্য্যান্য ছেলে ভাগ করে নেন সুজন চন্দ্র বর্মন ব্যাতিত।
কিন্তু সমানভাবে সম্পত্তিগুলো ভাগ না হওয়ায় সুমন চন্দ্র বর্মন ও রাজন চন্দ্র বর্মন রাস্তার ধারে জায়গা বেশি ভোগ দখল করছেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে সুজন চন্দ্র বর্মন, ভাতিজা রাজিব কুমার বমর্ন ও আপন কুমার বর্মন উক্ত সম্পত্তি দখল করতে গেলে প্রতিপক্ষগণ বাধা প্রদান করে এবং বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয়।
এঘটনায় সুজন চন্দ্র বর্মন, মৃত ধীরেন চন্দ্র বর্মনের ছেলে রাজিব কুমার বমর্ন ও আপন কুমার বর্মন উক্ত সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা করে সমান সমান দখল চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

 

 

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

kartick kartick

Popular Post

গাইবান্ধার বোয়ালী ইউনিয়নের থানসিংহপুরে পৈত্রিক সম্পত্তির সমান ভাগ চাওয়ায় ভাতিজাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি

Update Time : ১০:৩০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

স্টাফ রিপোর্টঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের থানসিংহপুর গ্রামে পৈত্রিক সম্পত্তির সমান ভাগ চাওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে মনোমালিন্য এবং ঝগড়া-ঝাড়ি চলে আসছে।
একপর্যায়ে প্রাণনাশের হুমকিও প্রদান করে আসছে প্রতিপক্ষ। এঘটনায় একাধিকবার গ্রাম্যসালিশ হলেও প্রতিকার পায়নি সুজন চন্দ্র বর্মন, ভাতিজা রাজিব কুমার বর্মন ও আপন কুমার বর্মন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মৃত পরমেশ^র চন্দ্র বমর্ণের ছেলে মৃত ধীরেন চন্দ্র বর্মন, সুপত চন্দ্র বর্মন, সুজন চন্দ্র বর্মন, সুমন চন্দ্র বর্মন, রাজন চন্দ্র বর্মন ও উত্তম কুমার বর্মন উক্ত সম্পত্তির মালিক।
কিন্তু সুজন চন্দ্র বর্মন, মৃত ধীরেন চন্দ্র বর্মনের ছেলে রাজিব কুমার বমর্ন ও আপন কুমার বর্মন উক্ত জমি দখল করতে গেলে সুপত চন্দ্র বর্মন, সুমন চন্দ্র বর্মন, রাজন চন্দ্র বর্মন ও উত্তম কুমার বর্মন বাধা প্রদান করেন এবং জীবন নাশের হুমদি দিচ্ছেন।
বিগত ৩ জুলাই ২০১৯ সালে পরমেশ^র চন্দ্র বর্মণ মৃত বরণ করলে ওয়ারিশ সূত্রে তার ছেলেরা উক্ত সম্পত্তির মালিক হন। কিন্তু পরমেশ^র চন্দ্র বর্মণ জীবিত থাকা অবস্থায় তিনি ছেলেদেরকে বসতবাড়ী করার জন্য নিজ বাড়ীতেই ঘরদজা তুলে বসবাস করতে থাকেন।
পরমেশ^র চন্দ্র বর্মণ মৃতুর কিছুদিন পর তার বড় ছেলে ধীরেন চন্দ্র বর্মনও মৃত্যু বরণ করেন। জীবিত থাকা অবস্থায় উক্ত সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা হয়নি যৌথভাবে থাকার কারণে।
পরমেশ^র চন্দ্র বর্মণ জীবিত অবস্থায় তার বড় ছেলে ধীরেন চন্দ্র বর্মন ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে সে বাবার কাছ থেকে ৮শতাংশ জমি বিক্রি করে চিকিৎসা করান। সেই সুযোগে অন্যান্য ৫ ছেলেরা ১৬ শতাংশ জমি লিখে নেন বাবার কাছে। কিন্তু ধীরেন চন্দ্র বর্মন দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকায় বাকী ৮ শতাংশ জমি লিখে নিতে পারেননি বাবার কাছ থেকে। গত ৩ জুলাই ২০১৯ সালে পরমেশ^র চন্দ্র বর্মন মৃত্যুবরণ করেন এবং তার বড় ছেলে ধীরেন চন্দ্র বর্মনও ২৩ সেপ্টেম্বর মৃত্যু বরণ করেন। সম্পত্তির বাকী ৮ শতাংশ জমি অন্য্যান্য ছেলে ভাগ করে নেন সুজন চন্দ্র বর্মন ব্যাতিত।
কিন্তু সমানভাবে সম্পত্তিগুলো ভাগ না হওয়ায় সুমন চন্দ্র বর্মন ও রাজন চন্দ্র বর্মন রাস্তার ধারে জায়গা বেশি ভোগ দখল করছেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে সুজন চন্দ্র বর্মন, ভাতিজা রাজিব কুমার বমর্ন ও আপন কুমার বর্মন উক্ত সম্পত্তি দখল করতে গেলে প্রতিপক্ষগণ বাধা প্রদান করে এবং বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয়।
এঘটনায় সুজন চন্দ্র বর্মন, মৃত ধীরেন চন্দ্র বর্মনের ছেলে রাজিব কুমার বমর্ন ও আপন কুমার বর্মন উক্ত সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা করে সমান সমান দখল চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।