
স্টাফ রিপোর্টঃ গাইবান্ধায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ধরে কুপিয়ে রুহুল আমিন (৪৩) নামের এক সেনাসদস্যের হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী এলাকাবাসী আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করে।
গতকাল শনিবার বিকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবস্থায় মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ফুলছড়ি থানা পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারি এলাকায় ওই মারামারির ঘটনা ঘটে।নিহত সেনাসদস্য রুহুল আমিন এবং আহত জাকির (৪৬) ও রতন (৪০) কাতলামারি এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলীর ছেলে।
পুলিশ জানান, মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলীর পরিবারের সঙ্গে অনেকদিন থেকেই ওই এলাকার মধু ব্যাপারির জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। যা নিয়ে এখনও আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মঙ্গলাবার সকালে মধু বেপারির ছেলেরা জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য পুকুরে ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন বসান। এতে মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলীর ছেলে জাকির হোসেন, সেনা সদস্য রুহুল আমিন ও রতন মিয়া বাধা দিলে প্রথমে উভয়েরর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।এক পর্যায়ে মধু বেপারির পক্ষের প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আনসার আলীর তিন ছেলেকে পিটিয়ে গুরুত আহত করেন।পরে আহতদের তাদের স্বজন ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনজনকেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে সেনাসদস্য রুহুল আমিনকে নেওয়া হয় রংপুর সিএমএইচে। সেখানে আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, ওই মারামারির ঘটনার পর রাতে মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০ জনের নামে ফুলছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার মো.হাফিজুর রহমান বলেন ‘মঙ্গলবার মারামারির ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।