Dhaka ০৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় কিস্তির টাকা তুলতে গিয়ে এনজিও কর্মী নিখোঁজ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৩৬:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২৩ Time View

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা:

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ঋণের কিস্তির টাকা আদায় করতে গিয়ে সারোয়ার হোসেন (৩২) নামে এক এনজিও কর্মী নিখোঁজ হয়েছেন। গত মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার মাদারহাট বাজার এলাকায় কিস্তি আদায় করতে যান তিনি। এরপর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ সারোয়ার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের মঞ্জিল হোসেনের ছেলে। তিনি বেসরকারি সংস্থা (এসকেএস) ফাউন্ডেশনের ঢোলভাঙ্গা শাখার ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয়দের বরাতে এসকেএস ঢোলভাঙ্গা শাখার কর্মকর্তারা জানান, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে সারোয়ার কিস্তির টাকা তুলতে অফিস থেকে মোটসাইকেল নিয়ে বের হয়ে যান। তিনি মাদারহাট-জুগিবাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে বসে কিস্তির টাকা আদায় করেন। এ সময় তার মোবাইলে একটি নাম্বার থেকে বারবার ফোন আসলে ঋণ ও কিস্তির বিষয়ে কথা বলেন তিনি। পরে কিস্তি আদায় শেষ করে দুপুরে মাদারহাট বাজার হয়ে অফিসের দিকে রওনা দেন তিনি। এরপর থেকে তাকে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এছাড়া তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। সারোয়ারের কাছে কিস্তি আদায়ের নগদ দেড় লাখ টাকা, ডিসকভার ১২০ সিসির মোটরসাইকেল ও অফিসের কাগজপত্র ছিল।

নিখোঁজ সারোয়ার হোসেনের ছোট ভাই মো. সাকোয়াত হোসেন বলেন, নিখোঁজের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় একটি সমিতির সদস্যের সঙ্গে ঋণ ও কিস্তির টাকা আদায় নিয়ে সারোয়ারের দ্বন্দ্ব চলছিল। নিখোঁজের আগে কিস্তি আদায়ের সময় মোবাইলে ফোনে জনৈক সদস্যের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ কারণে কোনো দুর্বৃত্তের দল তাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করতে পারে।

এদিকে ঘটনাটি সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। এছাড়া এসকেএস ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম সার্পোট ম্যানেজার মোমিনুর রহমান পলাশবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ অসহযোগিতা করছে অভিযোগ পরিবারের।

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, নিখোঁজের ঘটনায় এনজিও কর্তৃপক্ষ থানায় জিডি করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।

অপরদিকে অসহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, পলাশবাড়ী থানা পুলিশসহ আমরা যৌথভাবে নিখোঁজের ঘটনাটির তদন্ত করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

গাইবান্ধায় কিস্তির টাকা তুলতে গিয়ে এনজিও কর্মী নিখোঁজ

Update Time : ০৯:৩৬:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা:

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ঋণের কিস্তির টাকা আদায় করতে গিয়ে সারোয়ার হোসেন (৩২) নামে এক এনজিও কর্মী নিখোঁজ হয়েছেন। গত মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার মাদারহাট বাজার এলাকায় কিস্তি আদায় করতে যান তিনি। এরপর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ সারোয়ার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের মঞ্জিল হোসেনের ছেলে। তিনি বেসরকারি সংস্থা (এসকেএস) ফাউন্ডেশনের ঢোলভাঙ্গা শাখার ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয়দের বরাতে এসকেএস ঢোলভাঙ্গা শাখার কর্মকর্তারা জানান, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে সারোয়ার কিস্তির টাকা তুলতে অফিস থেকে মোটসাইকেল নিয়ে বের হয়ে যান। তিনি মাদারহাট-জুগিবাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে বসে কিস্তির টাকা আদায় করেন। এ সময় তার মোবাইলে একটি নাম্বার থেকে বারবার ফোন আসলে ঋণ ও কিস্তির বিষয়ে কথা বলেন তিনি। পরে কিস্তি আদায় শেষ করে দুপুরে মাদারহাট বাজার হয়ে অফিসের দিকে রওনা দেন তিনি। এরপর থেকে তাকে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এছাড়া তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। সারোয়ারের কাছে কিস্তি আদায়ের নগদ দেড় লাখ টাকা, ডিসকভার ১২০ সিসির মোটরসাইকেল ও অফিসের কাগজপত্র ছিল।

নিখোঁজ সারোয়ার হোসেনের ছোট ভাই মো. সাকোয়াত হোসেন বলেন, নিখোঁজের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় একটি সমিতির সদস্যের সঙ্গে ঋণ ও কিস্তির টাকা আদায় নিয়ে সারোয়ারের দ্বন্দ্ব চলছিল। নিখোঁজের আগে কিস্তি আদায়ের সময় মোবাইলে ফোনে জনৈক সদস্যের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ কারণে কোনো দুর্বৃত্তের দল তাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করতে পারে।

এদিকে ঘটনাটি সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। এছাড়া এসকেএস ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম সার্পোট ম্যানেজার মোমিনুর রহমান পলাশবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ অসহযোগিতা করছে অভিযোগ পরিবারের।

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, নিখোঁজের ঘটনায় এনজিও কর্তৃপক্ষ থানায় জিডি করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।

অপরদিকে অসহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, পলাশবাড়ী থানা পুলিশসহ আমরা যৌথভাবে নিখোঁজের ঘটনাটির তদন্ত করছি।