Dhaka ১২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
রাণীনগরে শিশু ও বাকপ্রতিবন্ধী বাবার দ্বি-খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার চরাঞ্চলের চাষীদের মাঝে কৃষি উপকরণ প্রদান বোনারপাড়া বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী ২৫ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের ভারতে যাবার প্রাক্কালে বিজিবি’র হাতে আটক দু নারী ও শিশু রাণীনগরে মাজার-ঈদগাঁর ৯০লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ২৭ নভেম্বর,২০২৪ খ্রি.।। ম্ঙ্গলবার পীরগঞ্জের আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবীতে মানবন্ধন জলবায়ু পরিবর্তন ও নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিমিয় সভা সাঘাটায় বিশ্ব টয়লেট ডে উদযাপন ঘোড়াঘাটে যৌথ বাহিনীর অভিযান অস্ত্রসহ যুবক আটক

গরুর হাটে দালালের কাছে জিম্মি ক্রেতা-বিক্রেতারা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:২৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩
  • ৩৫১ Time View


আফতাব হোসেন:
শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বৃহৎ গাইবান্ধার ভরতখালীর গো-হাটসহ জেলার ৫০টি স্থায়ী ও অস্থায়ী বেঁচা-কেনার হাট। তবে, চলতি বছর হাটবাজারে দেশিয় গরু-ছাগলের উঠলেও ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। এদিকে মূল্য ক্রেতাদের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে থাকলেও দালাল ও পাইকারে নিকট জিম্মি হয়ে কেনা-বেচা করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
এছরের কোরবানীর হাট হিসেবে উত্তরাঞ্চলের দেশিয় গরু-ছাগলের ক্রয়-বিক্রয়খ্যাত গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী গো-হাট। এছাড়াও সাত উপজেলার নিয়মিতভাবে গরু-ছাগল কেনা-বেঁচার জন্য ২৬টি স্থায়ী হাটের পাশাপাশি ১৫টি অস্থায়ী ও ৮টি অনলাইন হাটে বেঁচা-কেনা চলছে।
গরু-ছাগলের মূল্য গত বছরের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম হলেও দালাল ও পাইকার চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এতে করে মাঝখানে লাভবান হচ্ছেন দালালেরা। সাঘাটার হাসিলকান্দি আনোয়ার হোসেন জানান, হাটে কে ক্রেতা আর বিক্রেতা বোঝা মুশকিল। দু’হাট ঘুরে কোরবানীর গরু কিনতে পারিনি, একারণে প্রতিবেশির কাছ থেকে গরু কিনেছি। এতে করে দুজনই লাভবান হয়েছি। হলদিয়ার নুর আলম জানান, দালালদের অত্যাচারে কোন ভদ্রলোক গরু হাটে যেতে সাহস পায়না। ক্রেতা বিক্রেতা দুজই যে অসহায়। পাইকারেরা এমনতেই গরুর দাম হাকায়, এতে করে ক্রেতাদের পছন্দ হলেও তার ক্রয় করতে পারেনা।
ভরতখালী হাট কমিটির সদস্য ও সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তার পাশাপাশি পশুর চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র বসানো আছে। এছাড়াও দুরের পাইকারেরা যাতে স্বচ্ছন্দে ও নিরাপত্তা নিয়েই কেনা-বেচা করতে পারে এজন্য হাট কমিটির পক্ষ থেকে সবধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার ডা. মাসুদার রহমান সরকার জানান, জেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী হাটের মাধ্যমে গরু ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অধিক মোটা ও বেশি অজনের পশুগুলোর চাহিদা এজেলায় কম হওয়ায় অন্য জেলা পাইকারের ও অনলাইন প্লাটফর্মে বিক্রি হচ্ছে।
এবারের কোরবানীর জন্য প্রায় ১৭ হাজার খামারীর নিকট থেকে গাইবান্ধা জেলায় ১লাখ ৩৮ হাজার ২৭৭টি গাবাদি পশুপ্রাণি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য প্রস্তত রাখা হয়। স্থানীয়ভাবে জেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে ১লাখ ১৬হাজার ৭৭৭টি পশু প্রাণি। অতিরিক্তি ২১হাজার ৫৭৭টি গবাদি পশুপ্রাণি ঢাকাসহ অন্য জেলায় বিক্রয় হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

রাণীনগরে শিশু ও বাকপ্রতিবন্ধী বাবার দ্বি-খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার

গরুর হাটে দালালের কাছে জিম্মি ক্রেতা-বিক্রেতারা

Update Time : ১২:২৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩


আফতাব হোসেন:
শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বৃহৎ গাইবান্ধার ভরতখালীর গো-হাটসহ জেলার ৫০টি স্থায়ী ও অস্থায়ী বেঁচা-কেনার হাট। তবে, চলতি বছর হাটবাজারে দেশিয় গরু-ছাগলের উঠলেও ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। এদিকে মূল্য ক্রেতাদের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে থাকলেও দালাল ও পাইকারে নিকট জিম্মি হয়ে কেনা-বেচা করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
এছরের কোরবানীর হাট হিসেবে উত্তরাঞ্চলের দেশিয় গরু-ছাগলের ক্রয়-বিক্রয়খ্যাত গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী গো-হাট। এছাড়াও সাত উপজেলার নিয়মিতভাবে গরু-ছাগল কেনা-বেঁচার জন্য ২৬টি স্থায়ী হাটের পাশাপাশি ১৫টি অস্থায়ী ও ৮টি অনলাইন হাটে বেঁচা-কেনা চলছে।
গরু-ছাগলের মূল্য গত বছরের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম হলেও দালাল ও পাইকার চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এতে করে মাঝখানে লাভবান হচ্ছেন দালালেরা। সাঘাটার হাসিলকান্দি আনোয়ার হোসেন জানান, হাটে কে ক্রেতা আর বিক্রেতা বোঝা মুশকিল। দু’হাট ঘুরে কোরবানীর গরু কিনতে পারিনি, একারণে প্রতিবেশির কাছ থেকে গরু কিনেছি। এতে করে দুজনই লাভবান হয়েছি। হলদিয়ার নুর আলম জানান, দালালদের অত্যাচারে কোন ভদ্রলোক গরু হাটে যেতে সাহস পায়না। ক্রেতা বিক্রেতা দুজই যে অসহায়। পাইকারেরা এমনতেই গরুর দাম হাকায়, এতে করে ক্রেতাদের পছন্দ হলেও তার ক্রয় করতে পারেনা।
ভরতখালী হাট কমিটির সদস্য ও সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তার পাশাপাশি পশুর চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র বসানো আছে। এছাড়াও দুরের পাইকারেরা যাতে স্বচ্ছন্দে ও নিরাপত্তা নিয়েই কেনা-বেচা করতে পারে এজন্য হাট কমিটির পক্ষ থেকে সবধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার ডা. মাসুদার রহমান সরকার জানান, জেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী হাটের মাধ্যমে গরু ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অধিক মোটা ও বেশি অজনের পশুগুলোর চাহিদা এজেলায় কম হওয়ায় অন্য জেলা পাইকারের ও অনলাইন প্লাটফর্মে বিক্রি হচ্ছে।
এবারের কোরবানীর জন্য প্রায় ১৭ হাজার খামারীর নিকট থেকে গাইবান্ধা জেলায় ১লাখ ৩৮ হাজার ২৭৭টি গাবাদি পশুপ্রাণি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য প্রস্তত রাখা হয়। স্থানীয়ভাবে জেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে ১লাখ ১৬হাজার ৭৭৭টি পশু প্রাণি। অতিরিক্তি ২১হাজার ৫৭৭টি গবাদি পশুপ্রাণি ঢাকাসহ অন্য জেলায় বিক্রয় হচ্ছে।