Dhaka ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসএসসি জিপিএ-৫ জাল সার্টিফিকেট দিয়ে এইচএসসি পাশ, শিক্ষার্থী জানতে পারলেন ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষায়

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০৮:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • ২১৭ Time View

পলাশবাড়ী প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট জালিয়াতির সাথে জড়িতদের বিচারের দাবীতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুর ২টায় পৌরশহরের পল্লী অগ্রগতি সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌরশহরের হরিণমারী গ্রামের মো. সাগর মিয়ার মেয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মোছা. স্বর্ণা মনি।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পাটোয়া মেহেদী বাগ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিগত ২০২২ সালে জিপিএ ৫ পেয়ে এসএসসি পাস করি। যার রোল নং- ২০৯৯০৯, রেজিঃ নং-১৯১৭৬৬২১৬৫। পরবর্তীতে একই উপজেলার কোচাশহর শিল্প নগরী কলেজ থেকে ২০২৪ সালে জিপিএ ৪.৩৩ পেয়ে এইচএসসি পাস করি। যার রোল নং- ১৪৫০৪২, রেজিঃ নং-১৯১৭৬৬২১৬৫। এসব সার্টিফিকেট দিয়ে রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ও নার্সিং কোচিংও করি। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পায়। তখন আবেদন করতে গিয়ে জানতে পারি আমার এসএসসি সার্টিফিকেটে মো. মুসাব্বির হোসেন সিয়াম, পিতা- মো. সিরাজুল ইসলাম, মাতা- মাসুদা বেগম দেখা যায়। এ সংক্রান্ত বিষয়ে পাটোয়া মেহেদী বাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রশিদ শেখ-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিভিন্ন অজুহাত এবং টালবাহানার মাধ্যমে হয়রানি করে আসছেন। এসব বিষয় নিয়ে আমি এবং আমার বাবাসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুরে যোগাযোগ করে জানাতে পারি পাটোয়া মেহেদী বাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গত ২০/১১/২০২২ তারিখে আমার রোল ২০৯৯০৯ এর উপর সংশোধনের আবেদন করেছেন। যা গত ১৭/০৪/২০২৩ তারিখে প্রধান শিক্ষকের সিলমোহরসহ স্বাক্ষর অনুযায়ী সংশোধনী আবেদনের কার্যক্রম শুরু হয় (মিটিং নং-১১৫)। পাটোয়া মেহেদী বাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় নাকাইহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর সাজাহান এবং মো. মুসাব্বির হোসেন সিয়ামের জালিয়াতির কারণে আমার সব স্বপ্ন ভেঙ্গে গিয়েছে। এইচএসসি পাস করার পর কত বড় স্বপ্ন নিয়ে রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ও নার্সিং কোচিং সম্পন্ন করি। অনেক অর্থ ব্যয় করেছি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলাম না। তাই আমার সার্টিফিকেট জালিয়াতির সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী জানাচ্ছি। এসময় তার সাথে বাবা সাগর মিয়া ও মাতা মোছা. রুবিনা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

এসএসসি জিপিএ-৫ জাল সার্টিফিকেট দিয়ে এইচএসসি পাশ, শিক্ষার্থী জানতে পারলেন ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষায়

Update Time : ০৫:০৮:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

পলাশবাড়ী প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট জালিয়াতির সাথে জড়িতদের বিচারের দাবীতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুর ২টায় পৌরশহরের পল্লী অগ্রগতি সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌরশহরের হরিণমারী গ্রামের মো. সাগর মিয়ার মেয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মোছা. স্বর্ণা মনি।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পাটোয়া মেহেদী বাগ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিগত ২০২২ সালে জিপিএ ৫ পেয়ে এসএসসি পাস করি। যার রোল নং- ২০৯৯০৯, রেজিঃ নং-১৯১৭৬৬২১৬৫। পরবর্তীতে একই উপজেলার কোচাশহর শিল্প নগরী কলেজ থেকে ২০২৪ সালে জিপিএ ৪.৩৩ পেয়ে এইচএসসি পাস করি। যার রোল নং- ১৪৫০৪২, রেজিঃ নং-১৯১৭৬৬২১৬৫। এসব সার্টিফিকেট দিয়ে রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ও নার্সিং কোচিংও করি। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পায়। তখন আবেদন করতে গিয়ে জানতে পারি আমার এসএসসি সার্টিফিকেটে মো. মুসাব্বির হোসেন সিয়াম, পিতা- মো. সিরাজুল ইসলাম, মাতা- মাসুদা বেগম দেখা যায়। এ সংক্রান্ত বিষয়ে পাটোয়া মেহেদী বাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রশিদ শেখ-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিভিন্ন অজুহাত এবং টালবাহানার মাধ্যমে হয়রানি করে আসছেন। এসব বিষয় নিয়ে আমি এবং আমার বাবাসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুরে যোগাযোগ করে জানাতে পারি পাটোয়া মেহেদী বাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গত ২০/১১/২০২২ তারিখে আমার রোল ২০৯৯০৯ এর উপর সংশোধনের আবেদন করেছেন। যা গত ১৭/০৪/২০২৩ তারিখে প্রধান শিক্ষকের সিলমোহরসহ স্বাক্ষর অনুযায়ী সংশোধনী আবেদনের কার্যক্রম শুরু হয় (মিটিং নং-১১৫)। পাটোয়া মেহেদী বাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় নাকাইহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর সাজাহান এবং মো. মুসাব্বির হোসেন সিয়ামের জালিয়াতির কারণে আমার সব স্বপ্ন ভেঙ্গে গিয়েছে। এইচএসসি পাস করার পর কত বড় স্বপ্ন নিয়ে রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ও নার্সিং কোচিং সম্পন্ন করি। অনেক অর্থ ব্যয় করেছি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলাম না। তাই আমার সার্টিফিকেট জালিয়াতির সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী জানাচ্ছি। এসময় তার সাথে বাবা সাগর মিয়া ও মাতা মোছা. রুবিনা বেগম উপস্থিত ছিলেন।