Dhaka ০৫:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এমজেএফ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ভাংচুর ও লুটপাট !

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৩০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
  • ১৯২ Time View

দেবহাটা (সাতক্ষীরা ) প্রতিনিধি,: নলতা এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) কালিগঞ্জ থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিদ্যালয়ের বর্তমান (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক ও দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম। লিখিত অভিযোগে ১১ জনের নাম উল্লেখ্য সহ ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। আরো জানা যায়, কালিগঞ্জ থানাধীন নলতা মৌজায় বিআরএস ১৫১ দাগে ২০ শতাংশ জমির উপর এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ মানুষের সহযোগীতায় বিগত ২০০৮ সাল থেকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও আচারণগত শিক্ষা প্রদান করে আসছে। বিদ্যালয়টি ২০১৬ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধিনে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে ১৫৬ জন শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে ২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী শিক্ষা প্রদান করে আসছেন। কিন্তু বিগত বাংলাদেশ সরকার পদত্যাগের পর কয়েকজন ভ‚মিদস্যু গত ৬ আগস্ট সকাল ৯ টার দিকে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, শাবল, কুড়াল ইত্যাদি নিয়ে অনধিকার ভাবে উক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর  ও লুটপাট করে অভিযুক্তরা। এসময় বিদ্যালয়টি ব্যাপক ভাংচুর ও লুট করে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে তারা। বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করার লক্ষে সংঘবদ্ধভাবে দেশের ক্রান্তিকাল সময়কে পুঁঁজি করে এমন জঘন্ন কাজে লিপ্ত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টি সংস্কার করে পুন:রায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের লক্ষে প্রস্তুতি গ্রহনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তদের বিভিন্ন ধরনের অপরাধ জনক ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান অব্যহত থাকায় এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এমজেএফ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আজহারুল ইসলাম জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হামলা ও লুটপাট অত্যান্ত দুঃখজনক বিষয়। বিশেষ করে প্রতিবন্ধীদের জন্য কালিগঞ্জ উপজেলার একমাত্র স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিদ্যালয়। এ ধরণের কাজে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

এমজেএফ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ভাংচুর ও লুটপাট !

Update Time : ০৯:৩০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

দেবহাটা (সাতক্ষীরা ) প্রতিনিধি,: নলতা এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) কালিগঞ্জ থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিদ্যালয়ের বর্তমান (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক ও দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম। লিখিত অভিযোগে ১১ জনের নাম উল্লেখ্য সহ ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। আরো জানা যায়, কালিগঞ্জ থানাধীন নলতা মৌজায় বিআরএস ১৫১ দাগে ২০ শতাংশ জমির উপর এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ মানুষের সহযোগীতায় বিগত ২০০৮ সাল থেকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও আচারণগত শিক্ষা প্রদান করে আসছে। বিদ্যালয়টি ২০১৬ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধিনে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে ১৫৬ জন শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে ২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী শিক্ষা প্রদান করে আসছেন। কিন্তু বিগত বাংলাদেশ সরকার পদত্যাগের পর কয়েকজন ভ‚মিদস্যু গত ৬ আগস্ট সকাল ৯ টার দিকে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, শাবল, কুড়াল ইত্যাদি নিয়ে অনধিকার ভাবে উক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর  ও লুটপাট করে অভিযুক্তরা। এসময় বিদ্যালয়টি ব্যাপক ভাংচুর ও লুট করে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে তারা। বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করার লক্ষে সংঘবদ্ধভাবে দেশের ক্রান্তিকাল সময়কে পুঁঁজি করে এমন জঘন্ন কাজে লিপ্ত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টি সংস্কার করে পুন:রায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের লক্ষে প্রস্তুতি গ্রহনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তদের বিভিন্ন ধরনের অপরাধ জনক ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান অব্যহত থাকায় এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এমজেএফ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আজহারুল ইসলাম জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হামলা ও লুটপাট অত্যান্ত দুঃখজনক বিষয়। বিশেষ করে প্রতিবন্ধীদের জন্য কালিগঞ্জ উপজেলার একমাত্র স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিদ্যালয়। এ ধরণের কাজে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।