Dhaka ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
জিও-এনজিও যৌথ উদ্যোগেই দেশ উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে-জেলা প্রশাসক,গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জে নারীসহ ২ জনের লাশ উদ্ধার কিশোর গ্যাং এর ৬ সদস্য ছুরিসহ গ্রেপ্তার সাঘাটায় যৌথ বাহিনী অভিযান, বাঙ্গালী নদীতে  বালু উত্তোলনে জরিত ৬ ব্যক্তি গ্রেফতার  মরা ছাড়া অন্যকোন গতি নেই-এই স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা গাইবান্ধায় প্রশিকার বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ণ শীর্ষক কর্মশালা আবারও সীমান্তে দশজনকে আটক  গোবিন্দগঞ্জে মাটির নীচে দেশীয় অস্ত্র নকল পিস্তল ইয়াবা ও ল্যাপটপ, ৪ শীর্ষ সন্ত্রাসী আটক উত্তরাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতু পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহিদি গোবিন্দগঞ্জে শয়ন ঘর থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

উত্তরাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতু পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহিদি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১৭:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
  • ৪৯ Time View

স্টাফ রিপোর্টঃ কুড়িগ্রামের চিলমারী ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুরের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন চিলমারী-হরিপুর তিস্তা নদীর উপর নব নির্মিত ১৪৯০ মিটার সেতুর কাজ ৯৬ ভাগশেষ হয়েছে। এটি স্থানীয় সরকার বিভাগের সর্বোচ্চ সেতু।আমরা সেতুটি পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সরকার বিভাগের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এসেসমেন্ট করবো। আশা করছি এই মাসে সেতুটি যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হবে।” ৫ জুলাই শুক্রবার বেলা ১১টায় সেতু পরিদর্শন কালে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহিদি।
এময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (খএঊউ) প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ মিয়া, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহম্মদ, উত্তরাঞ্চলের আট জেলার এলজিইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
জানাযায়,সৌদি সরকারের অর্থায়নে প্রায় ৮৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ১,৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতুটি। এলজিইডির তত্ত্বাবধানে চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন সেতুটির নির্মাণ কাজ পরিচালনা করছেন।
সেতুর উভয় পাশে ৮৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং প্রায় ৩.৫ কিলোমিটার নদী শাসন কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সেতুটি চালু হলে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে, যাতায়াত সহজ ও সময়সাশ্রয়ী হবে। কৃষিজ পণ্য দ্রুত বাজারজাত করা সম্ভব হবে, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে, এবং পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে। এর মাধ্যমে দুই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সামাজিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা সেতুটির উদ্বোধনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তারা মনে করেন, সেতুটি চালু হলে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে, কৃষিপণ্য পরিবহন , যাতায়াত, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষাসেবা গ্রহণে সুবিধা হবে।
চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতুটি কেবল একটি অবকাঠামো নয়, এটি উত্তরাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার প্রতীক। সেতুটির উদ্বোধন হলে এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

 

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

kartick kartick

Popular Post

জিও-এনজিও যৌথ উদ্যোগেই দেশ উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে-জেলা প্রশাসক,গাইবান্ধা

উত্তরাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতু পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহিদি

Update Time : ০৮:১৭:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টঃ কুড়িগ্রামের চিলমারী ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুরের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন চিলমারী-হরিপুর তিস্তা নদীর উপর নব নির্মিত ১৪৯০ মিটার সেতুর কাজ ৯৬ ভাগশেষ হয়েছে। এটি স্থানীয় সরকার বিভাগের সর্বোচ্চ সেতু।আমরা সেতুটি পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সরকার বিভাগের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এসেসমেন্ট করবো। আশা করছি এই মাসে সেতুটি যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হবে।” ৫ জুলাই শুক্রবার বেলা ১১টায় সেতু পরিদর্শন কালে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহিদি।
এময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (খএঊউ) প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ মিয়া, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহম্মদ, উত্তরাঞ্চলের আট জেলার এলজিইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
জানাযায়,সৌদি সরকারের অর্থায়নে প্রায় ৮৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ১,৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতুটি। এলজিইডির তত্ত্বাবধানে চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন সেতুটির নির্মাণ কাজ পরিচালনা করছেন।
সেতুর উভয় পাশে ৮৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং প্রায় ৩.৫ কিলোমিটার নদী শাসন কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সেতুটি চালু হলে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে, যাতায়াত সহজ ও সময়সাশ্রয়ী হবে। কৃষিজ পণ্য দ্রুত বাজারজাত করা সম্ভব হবে, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে, এবং পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে। এর মাধ্যমে দুই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সামাজিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা সেতুটির উদ্বোধনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তারা মনে করেন, সেতুটি চালু হলে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে, কৃষিপণ্য পরিবহন , যাতায়াত, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষাসেবা গ্রহণে সুবিধা হবে।
চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতুটি কেবল একটি অবকাঠামো নয়, এটি উত্তরাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার প্রতীক। সেতুটির উদ্বোধন হলে এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।