Dhaka ০৬:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ নেতাদের পক্ষে সুপারিশ ফুলছড়ি বিএনপি সভাপতির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৪২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৮ Time View

স্টাফ রিপোর্টঃ গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাদিকুল ইসলাম নান্নুর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
এসব অভিযোগ তুলে ধরে সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকালে ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফজলুপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফজলুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাদিকুল ইসলাম স্থানীয়ভাবে বিএনপি পরিবারের বাইরে থাকা এবং বিগত সরকারি দল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজনকে অর্থের বিনিময়ে বিএনপির সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া তিনি একাধিকবার দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ব্যক্তি উদ্যোগে এসব অপকর্ম করে যাচ্ছেন, যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে।
বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলামের দাবি, সম্প্রতি ফজলুপুর ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কয়েকজন আসামিকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে লিখিত আবেদন করেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাদিকুল ইসলাম নান্নু। এই আবেদনে তিনি নিজের স্বাক্ষরের পাশাপাশি দলীয় সিলমোহরও ব্যবহার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, মামলায় যাদের নাম বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। এদের মধ্যে রয়েছেন আমিনুল ইসলাম, যিনি ২০১৬ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেন। শাহিন মিয়া, ফজলুপুর ইউনিয়ন যুবলীগের বর্তমান সভাপতি, ফরিদুল ইসলাম, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, এনায়েত আলী, স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, আবু সাঈদ, যিনি ‘কুখ্যাত নৌকা চোর’ হিসেবে পরিচিত এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতা।
এছাড়া আরও ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যারা প্রত্যেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ বা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করে বলেন, সাদিকুল ইসলাম নান্নু বিএনপির প্রতিপক্ষ সংগঠন যুবলীগের নেতা আব্দুল হাকিমকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং ফজলুপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্যাড ব্যবহার করে তার পক্ষ সমর্থনে প্রত্যয়নপত্রও দিয়েছেন। এ ধরনের কর্মকা- সরাসরি দলের আদর্শ, গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ফজলুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিলন, ফুলছড়ি থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ওমর ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মামুন আহমেদ, ফজলুপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম।
এ বিষয়ে সাদিকুল ইসলাম নান্নু মুঠোফোনে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এর আগেও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটিতে ছিলেন এবং বর্তমানেও কমিটিতে আছেন। সেই জন্য আমি তাদের পক্ষে প্রত্যায়ন প্রদান করেছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

kartick kartick

Popular Post

আ.লীগ নেতাদের পক্ষে সুপারিশ ফুলছড়ি বিএনপি সভাপতির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ

Update Time : ০৭:৪২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টঃ গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাদিকুল ইসলাম নান্নুর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
এসব অভিযোগ তুলে ধরে সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকালে ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফজলুপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফজলুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাদিকুল ইসলাম স্থানীয়ভাবে বিএনপি পরিবারের বাইরে থাকা এবং বিগত সরকারি দল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজনকে অর্থের বিনিময়ে বিএনপির সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া তিনি একাধিকবার দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ব্যক্তি উদ্যোগে এসব অপকর্ম করে যাচ্ছেন, যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে।
বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলামের দাবি, সম্প্রতি ফজলুপুর ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কয়েকজন আসামিকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে লিখিত আবেদন করেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাদিকুল ইসলাম নান্নু। এই আবেদনে তিনি নিজের স্বাক্ষরের পাশাপাশি দলীয় সিলমোহরও ব্যবহার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, মামলায় যাদের নাম বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। এদের মধ্যে রয়েছেন আমিনুল ইসলাম, যিনি ২০১৬ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেন। শাহিন মিয়া, ফজলুপুর ইউনিয়ন যুবলীগের বর্তমান সভাপতি, ফরিদুল ইসলাম, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, এনায়েত আলী, স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, আবু সাঈদ, যিনি ‘কুখ্যাত নৌকা চোর’ হিসেবে পরিচিত এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতা।
এছাড়া আরও ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যারা প্রত্যেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ বা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করে বলেন, সাদিকুল ইসলাম নান্নু বিএনপির প্রতিপক্ষ সংগঠন যুবলীগের নেতা আব্দুল হাকিমকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং ফজলুপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্যাড ব্যবহার করে তার পক্ষ সমর্থনে প্রত্যয়নপত্রও দিয়েছেন। এ ধরনের কর্মকা- সরাসরি দলের আদর্শ, গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ফজলুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিলন, ফুলছড়ি থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ওমর ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মামুন আহমেদ, ফজলুপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম।
এ বিষয়ে সাদিকুল ইসলাম নান্নু মুঠোফোনে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এর আগেও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটিতে ছিলেন এবং বর্তমানেও কমিটিতে আছেন। সেই জন্য আমি তাদের পক্ষে প্রত্যায়ন প্রদান করেছি।