Dhaka ০৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
গাইবান্ধা শহরের উদয়ন প্রিন্টিং প্রেসের পাশের্^ রান্নার চুলা বসানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট ঃ আহত ২ সাঘাটায় আওয়ামীলীগ কার্যালয় গুড়িয়ে দিয়ছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা সাদুল্লাপুরে ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলের ফলাফল অনিয়মের অভিযোগ স্বদেশের প্রয়োজনে বাঁচি তারুণ্যউত্থানে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের প্রীতি সম্মিলনে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রত্যয় সাংবাদিকদের পলাশবাড়ীতে বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে ৫ গ্রামবাসীর নদী পারাপার শহীদ আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন পলাশবাড়ীতে ইটভাটা শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার সাঘাটায় যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক আ’লীগ নেতা কারাগারে শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিউনিটি অ্যাকশন সভা অনুষ্ঠিত এক বছরে ১০৪ টি বন্যপ্রাণী মারা গেছে

অবশেষে ঝিমিয়ে পড়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়ন পরিষদে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২০:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১২ Time View

গোবিন্দগঞ্জ সংবাদদাতা ঃ অবশেষে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শালমারা ইউনিয়ন পরিষদ। আর এর মধ্যদিয়েই দীর্ঘ দিনের সেবাবঞ্চিত ইউনিয়নবাসী ফিরে পেয়েছে তাদের কাঙ্খিত সেবা কার্যক্রম। অথচ কয়েক কোটি টাকায় নির্মিত ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটি উদ্বোধনের পর থেকে ব্যবহার না করায় দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত থাকায় চুরি ও নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল নানা আসবাবপত্র। কিন্তু চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে বরখাস্থ হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বদলে গেছে এখানকার চিত্র। জনসেবার জন্য ইউনিয়ন ভবনটি কার্যক্রম শুরু করায় ফিরে পেয়ে খুশী ইউনিয়নবাসী।
স্থানীয়রা জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়ার পর থেকে উপজেলার শালমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান আনিছ কখনোই পরিষদ ভবনে না গিয়ে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা সদরের বাসায় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। রাতে বসবাস করতেন বগুড়া শহরের বাসায়। এ কারণে নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট সহ যে কোন জরুরী কাজে সেবা নিতে যেতে হতো তা সোনাতলা বা বগুড়া শহরের বাসায়। আবার মাঝে মাঝেই সেখানে গিয়ে দেখা যেত তিনি ঢাকা গিয়েছেন অথবা দেশের অন্য কোথাও গিয়েছেন। এতে তার অপেক্ষায় বসে থাকতে হত ঘন্টার পর ঘন্টা বা দিনের পর দিন। ইউনিয়নের নাগরিক সেবা প্রাপ্তির জন্য এ ধরনের বিড়ম্বনার যেন এখানকার জন্য নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে গিয়েছিল। তারা আরও জানান, চেয়ারমান আনিছ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠানিক সম্পাদক থাকায় অধিকাংশ সময়ই তার দেখা পাওয়া যেতো না। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার অভ্যূথ্থানের পর থেকে চেয়ারম্যান গা ঢাকা দেয়ায় সেবা কার্যক্রম ব্যহত হয়। জনগণের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে এই ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং প্যানেল চেয়ারম্যান মো: সনজীব হোসেনকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৩৩, ১০১ এবং ১০২ ধারা ২ নং স্মারক অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়ে সনজীব হোসেন ঝিমিয়ে পড়া ১৭ নং শালমারা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম শুরু কর্মমুখর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেন।
সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের সেবা নিতে আসা গাড়ামারা ঘুগা গ্রামের রানা মিয়া বলেন, নাগরিত্ব সার্টিফিকেট নেয়ার জন্য আগে নানা ভাবে যে হয়রানির শিকার হতে হতো তা এখন আর নেই। যে কোন কাজে এসে চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন পরিষদেই পাওয়া যাচ্ছে। শাখাহাতি গ্রামের রিনা বেগম বলেন, নারী হয়েও এর আগে তাকে দুইবার সোনাতলা যেতে হয়েছিল। তিনি এখন ইউনিয়ন পরিষদেও সেবায় মুগ্ধ।
শালমারা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: সনজীব হোসেন বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি তাদের সেবার। তাই সাধ্যমতো আন্তরিক ভাবে সেবা প্রদানের চেষ্টা করছি। আর যেহেতু সরকারি প্রজ্ঞাপনে ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে আমাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ জন্য ইউনিয়নবাসীর সুবিধার্থে প্রতিদিন সকাল ৯ থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থান করে তাদের নানা ধরণের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

kartick kartick

Popular Post

গাইবান্ধা শহরের উদয়ন প্রিন্টিং প্রেসের পাশের্^ রান্নার চুলা বসানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট ঃ আহত ২

অবশেষে ঝিমিয়ে পড়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়ন পরিষদে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য

Update Time : ০৭:২০:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

গোবিন্দগঞ্জ সংবাদদাতা ঃ অবশেষে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শালমারা ইউনিয়ন পরিষদ। আর এর মধ্যদিয়েই দীর্ঘ দিনের সেবাবঞ্চিত ইউনিয়নবাসী ফিরে পেয়েছে তাদের কাঙ্খিত সেবা কার্যক্রম। অথচ কয়েক কোটি টাকায় নির্মিত ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটি উদ্বোধনের পর থেকে ব্যবহার না করায় দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত থাকায় চুরি ও নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল নানা আসবাবপত্র। কিন্তু চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে বরখাস্থ হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বদলে গেছে এখানকার চিত্র। জনসেবার জন্য ইউনিয়ন ভবনটি কার্যক্রম শুরু করায় ফিরে পেয়ে খুশী ইউনিয়নবাসী।
স্থানীয়রা জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়ার পর থেকে উপজেলার শালমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান আনিছ কখনোই পরিষদ ভবনে না গিয়ে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা সদরের বাসায় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। রাতে বসবাস করতেন বগুড়া শহরের বাসায়। এ কারণে নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট সহ যে কোন জরুরী কাজে সেবা নিতে যেতে হতো তা সোনাতলা বা বগুড়া শহরের বাসায়। আবার মাঝে মাঝেই সেখানে গিয়ে দেখা যেত তিনি ঢাকা গিয়েছেন অথবা দেশের অন্য কোথাও গিয়েছেন। এতে তার অপেক্ষায় বসে থাকতে হত ঘন্টার পর ঘন্টা বা দিনের পর দিন। ইউনিয়নের নাগরিক সেবা প্রাপ্তির জন্য এ ধরনের বিড়ম্বনার যেন এখানকার জন্য নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে গিয়েছিল। তারা আরও জানান, চেয়ারমান আনিছ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠানিক সম্পাদক থাকায় অধিকাংশ সময়ই তার দেখা পাওয়া যেতো না। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার অভ্যূথ্থানের পর থেকে চেয়ারম্যান গা ঢাকা দেয়ায় সেবা কার্যক্রম ব্যহত হয়। জনগণের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে এই ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং প্যানেল চেয়ারম্যান মো: সনজীব হোসেনকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৩৩, ১০১ এবং ১০২ ধারা ২ নং স্মারক অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়ে সনজীব হোসেন ঝিমিয়ে পড়া ১৭ নং শালমারা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম শুরু কর্মমুখর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেন।
সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের সেবা নিতে আসা গাড়ামারা ঘুগা গ্রামের রানা মিয়া বলেন, নাগরিত্ব সার্টিফিকেট নেয়ার জন্য আগে নানা ভাবে যে হয়রানির শিকার হতে হতো তা এখন আর নেই। যে কোন কাজে এসে চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন পরিষদেই পাওয়া যাচ্ছে। শাখাহাতি গ্রামের রিনা বেগম বলেন, নারী হয়েও এর আগে তাকে দুইবার সোনাতলা যেতে হয়েছিল। তিনি এখন ইউনিয়ন পরিষদেও সেবায় মুগ্ধ।
শালমারা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: সনজীব হোসেন বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি তাদের সেবার। তাই সাধ্যমতো আন্তরিক ভাবে সেবা প্রদানের চেষ্টা করছি। আর যেহেতু সরকারি প্রজ্ঞাপনে ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে আমাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ জন্য ইউনিয়নবাসীর সুবিধার্থে প্রতিদিন সকাল ৯ থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থান করে তাদের নানা ধরণের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।